৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৫:০৪

মাগুরা মুক্ত দিবস ৭ ডিসেম্বর

মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরা মুক্ত দিবস ৭ ডিসেম্বর

আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকহানাদার মুক্ত হয় মাগুরা। পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে তৎকালীন মাগুরা মহাকুমায় ব্যাপক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

মাগুরাকে শত্রু মুক্ত করতে শ্রীপুরের আকবর হোসেন মিয়ার নেতৃত্বাধীন শ্রীপুর বাহিনী, মহম্মদপুরের ইয়াকুব বাহিনী, মহম্মদপুর-ফরিদপুর অঞ্চলের মাশরুরুল হক সিদ্দিকী কমল বাহিনী, মাগুরা শহরের খন্দকার মাজেদ বাহিনী এবং লিয়াকত হোসেনের নেতৃত্বে মুজিব বাহিনীসহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক সাহসী ভূমিকা নিয়ে পাক সেনা ও স্থানীয় রাজাকার আল বদর বাহিনীর সঙ্গে প্রাণপণ যুদ্ধ করে। গেরিলা বাহিনীর ব্যাপক আক্রমণের মুখে পাক বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে। 

৬ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনী নিজনান্দুয়ালী গ্রামসহ বিভিন্ন পাকিস্তানি ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। একই সঙ্গে মিত্রবাহিনীর আগ্রাসনের ভয়ে পাকিস্তানি সেনারা রাতারাতি মাগুরা শহর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। 

৭ ডিসেম্বর মাগুরা শত্রুমুক্তির আনন্দে মুক্তিকামী মানুষের ঢল নামে সারা শহরে। জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা মাগুরা এলাকা। 

যুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যমত সংগঠক ভারতের রানাঘাট যুব ক্যাম্পের ইনচার্জ এমপি আছাদুজ্জামান মাগুরার মুক্তি বাহিনীকে দিক নির্দেশনা, যুদ্ধাস্ত্র ও রসদ সরবরাহ করতেন। 

৭ ডিসেম্বর  বিকালে সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আছাদুজ্জামান মিত্রবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাপতি মেজর চক্রবর্তীর সঙ্গে সাজোয়া যানে মাগুরায় প্রবেশ করেন এবং সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক এমপি আছাদুজ্জামান মাগুরার সকল প্রশাসনিক দায়িত্ব নিজ হাতে গ্রহণ করেন।

মাগুরার নোমানী ময়দানে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সম্মিলিত কুজকাওয়াজে আছাদুজ্জামান অভিবাদন গ্রহণের মাধ্যমে আনুষ্ঠনিকভাবে মাগুরাকে পাকহানাদার মুক্ত বলে ঘোষণা করেন।   

মাগুরামুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে মাগুরা জেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।  

জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম জানান, ৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন উপলক্ষে জেলার সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় টায় শহরের নোমানী ময়দান থেকে শহরে র‌্যালি বের হবে, সকাল ১০টায় আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে দিবসটির তাৎপর্য সম্পর্কে আলোচনা সভা, সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ব্লাক আউট ও মমবাতি প্রজ্জ্বলন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবস পালিত হবে।  

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর