৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৫:২২

নানা আয়োজনে 'মাগুরা মুক্ত দিবস' পালিত

মাগুরা প্রতিনিধি

নানা আয়োজনে 'মাগুরা মুক্ত দিবস' পালিত
নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে আজ শনিবার মাগুরা মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল সাড়ে ১০ টায় শহরে বণার্ঢ্য র‌্যালি বের হয় । 
 
র‌্যালিতে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম, জেলা পুলিশ সুপারসহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। 
 
র‌্যালি শেষে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে আলোচনা সভা হয়। জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর। 
 
বক্তব্য রাখেন সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য কামরুল লায়লা জলি, পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তানজেল হোসেন খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আফাজ উদ্দিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুন্ডু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোল্যা নবুয়ত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ, মুন্সী রেজাউল হক, সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন প্রমুখ। 
 
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকহানাদার মুক্ত হয় মাগুরা। পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে তৎকালিন মাগুরা মহাকুমায় ব্যাপক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। মাগুরাকে শত্রু মুক্ত করতে শ্রীপুরের আকবর হোসেন মিয়ার নেতৃত্বাধীন শ্রীপুর বাহিনী, মহম্মদপুরের ইয়াকুব বাহিনী, মহম্মদপুর-ফরিদপুর অঞ্চলের মাশরুরুল হক সিদ্দিকী কমল বাহিনী, মাগুরা শহরের খন্দকার মাজেদ বাহিনী এবং লিয়াকত হোসেনের নেতৃত্বে মুজিব বাহিনীসহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক সাহসী ভূমিকা নিয়ে পাক সেনা ও স্থানীয় রাজাকার আল বদর বাহিনীর সাথে প্রাণপণ যুদ্ধ করে। 
 
গেরিলা বাহিনীর ব্যাপক আক্রমনের মুখে পাক বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে। ৬ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনী নিজনান্দুয়ালী গ্রামসহ বিভিন্ন পাকিস্তানী ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। একই সাথে মিত্রবাহিনীর আগ্রাসনের ভয়ে পাকিস্তানী সেনারা রাতারাতি মাগুরা শহর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ৭ ডিসেম্বর মাগুরা শত্রুমুক্তির আনন্দে মুক্তিকামি মানুষের ঢল নামে সারা শহরে। জয় বাংলা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা মাগুরা এলাকা। 
 
৭ ডিসেম্বর  বিকেলে মাগুরা মহকুমা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক আছাদুজ্জামান মিত্রবাহিনীর দায়িত্ব প্রাপ্ত সেনাপতি মেজর চক্রবর্তীর সাথে সাজোয়া যানে মাগুরায় প্রবেশ করেন এবং মাগুরার সকল প্রশাসনিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মাগুরা নোমানী ময়দানে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সম্মিলিত কুচকাওয়াজে আছাদুজ্জামান অভিবাদন গ্রহণের মাধ্যমে আনুষ্ঠনিকভাবে মাগুরাকে পাকহানাদার মুক্ত বলে ঘোষণা করেন।   
 
 
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর