১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২১:৫৫

সেবার মান নেই বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশনে, টিকিট সংকট

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

সেবার মান নেই বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশনে, টিকিট সংকট

বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশনে চাপ থাকলেও পর্যাপ্ত টিকিট পাচ্ছেন না আশপাশের কয়েক উপজেলার ট্রেনযাত্রীরা। টিকিটের অপর্যাপ্ততায় ভোগান্তিতে রয়েছেন যাত্রীরা। অপরদিকে বিরামপুর রেল স্টেশনে বিশ্রামাগার ও টয়লেট না থাকায় এবং প্লাটফর্ম ছোট হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে যাত্রীদের। এখনও আধুনিকতার ছোয়া লাগেনি স্টেশনে।

অথচ যাত্রীদের সেবার মান বাড়ালে এবং টিকিট সংকট কাটাতে পারলে এই রুট থেকে সরকারের রাজস্ব বেড়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। 

স্থানীয়রা জানান, বিরামপুর উপজেলার ১২ কিলোমিটার পূর্বে নবাবগঞ্জ উপজেলা, ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে হাকিমপুর উপজেলা ও হিলি স্থলবন্দর এবং ৪৬ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে ঘোড়াঘাট উপজেলা। নবাবগঞ্জ এবং ঘোড়াঘাটে রেলস্টেশন নেই। হিলিতে রেলস্টেশন থাকলেও আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নেই। এ কারণে ওইসব এলাকার ট্রেন যাত্রীদের বিরামপুর থেকেই চলাচল করতে হয়। 

বিরামপুর স্টেশনে ট্রেন ধরতে আসা শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, বিরামপুর স্টেশন থেকে চলাচলে টিকিট পাই না, আবার টিকিট পেলেও সিট পাই না। যাত্রীদের ব্যবহারের বিশ্রামাগারগুলো ব্যবহার অনুপযোগী তালাবদ্ধ থাকে। স্টেশনে টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় চরম সমস্যায় পড়তে হয়। এই স্টেশন থেকে এসি কেবিন ও চেয়ারের কোনও টিকিট বরাদ্দ নেই। যাত্রীছাউনি যেটি রয়েছে, তাও আকারে ছোট। এই রুটে অন্যান্য ট্রেন ছাড়া শুধু ৮টি আন্ত:নগর ট্রেন  চলাচল করে।

হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন জানান, স্থলবন্দর হিলিতে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি না থাকায় বিভিন্ন এলাকার এবং বিদেশ থেকে আসা ব্যবসায়ীদের বিরামপুর স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু স্টেশনটিতে পর্যাপ্ত আসন বরাদ্দ না থাকায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি।

বিরামপুর স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান জানান, বিরামপুর স্টেশন থেকে আশপাশের চার উপজেলার মানুষ চলাচল করেন। যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছেই। চাপ থাকলেও চাহিদা অনুযায়ী টিকিট বরাদ্দ নেই। এখানে এসি কেবিন ও এসি চেয়ারকোচের বরাদ্দ নেই। তাই আসন বৃদ্ধি ও যাত্রীদের নানা সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর