টাঙ্গাইলের নাগরপুরে পৃথক পৃথক ভাবে দুই নববধূ ও এক স্কুলছাত্রসহ তিনজনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শনিবার সকালে মর্গে প্রেরণ করেছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার জালাই, সন্ধ্যায় চৌধুরি ডাঙ্গায় ও শনিবার সকালে বেকড়া গ্রামে পৃথক পৃথক এ ঘটনাগুলো ঘটেছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের মো. সরোয়ারের স্ত্রী রুকসানা বেগম (১৮) শুক্রবার সন্ধ্যায় তার বাবার বাড়ি চৌধুরী ডাঙ্গা গ্রামের মো. বিদেশী মিয়ার বসত বাড়ির টিনের ঘরে বাঁশের ধন্নার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।
একইদিনে সকালে উপজেলার সাতগাছা গ্রামের মো. রাজুর স্ত্রী সুমি (১৮) তার মামার বাড়ি জালাই গ্রামের আব্দুর রহিমের বসত বাড়ির চৌচালা টিনের ঘরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।
অপরদিকে উপজেলার বেকড়া গ্রামের মো. লূৎফর রহমানের ছেলে ইমরান (১৪) বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার সকালে তাকে ঢাকা নেয়ার পথে মারা যায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ইমরান স্থানীয় নয়ান খান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। সে বেশ কয়েকদিন যাবত মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার আবদার করছিল। কিন্তু অভিভাবক এত ছোট বয়সে মোবাইল ফোন দিতে চাচ্ছিল না। আর মোবাইল না পেয়ে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে মনে করছে পরিবারের লোকজন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। এ সকল ঘটনায় নাগরপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই নববধূর লাশ উদ্ধার করে শনিবার টাঙ্গাইল মর্গে প্রেরন করেছে।
নাগরপুর থানার (ওসি) তদন্ত মো. গোলাম মোস্তফা মন্ডল জানান, আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে পৃথক পৃথক ভাবে দুইটি লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর একটি লাশ পারিবারিকভাবে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার