নরসিংদীর চিনিশপুরে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে জেসমিন আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরী। সে স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সে চিনিশপুর ইউনিয়নের দগরিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। সোমবার দুপুরে কিশোরীর বিয়ের কথা থাকলেও ইউএনও আইনি বিষয়টি তুলের ধরার পর বিয়ে বন্ধ করে কনের পরিবার।
পুলিশ জানিয়েছে, সদর উপজেলার নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশে দগরিয়া গ্রামে এক বাড়িতে জেসমিন আক্তার নামে এক স্কুল ছাত্রীর বিবাহ হচ্ছে। এমন খবরের ভিত্তিতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ আলম, জেলা মহিলা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সেলিনা বেগম ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল সেখানে যায়। পরে ঘটনার সত্যতা পেয়ে স্কুল ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে তারা কথা বলেন। পরে বর-কনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা করা হয়।
সদর মডেল থানার ওসি সৈয়দুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ। তাই কিশোরী মেয়েটি যাতে লেখাপড়া করে বিকশিত হতে পারে, সেজন্য বিয়ে বন্ধ করে শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
ইউএনও তাসলিমা আক্তার বলেন, দগরিয়া এলাকায় বাল্যবিয়ের খবর শুনে সেখানে যাই । পরে পরিবারের সদস্যদের বাল্যবিয়ের বিষয়ে আইনগত দিক তুলে ধরা হয়। তা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন