বগুড়ার গাবতলী পৌরসভার দরপত্রের লটারি না করে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ হাতিয়ে দেয়ার ঘটনায় পৌর মেয়র সাইফুল ইসলামসহ ৫জনকে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোমবার বগুড়ার জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে পৌর মেয়র সাইফুল ইসলামসহ ৫জন জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারক নরশে চন্দ্র সরকার শুনানী শেষে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে গাবতলী পৌরসভার তালিকাভুক্ত ঠিকাদার আতাউর রহমান আদালতে মামলা দায়ের এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করেন। এই অভিযোগ পেয়ে দুদক বগুড়া কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদন দেখা যায় গাবতলী উপজেলার বিএনপি নেতা ও গাবতলী পৌরসভার মেয়র সাইফুল ইসলাম, পৌর সচীব শাহীন আলম, পৌর প্রকৌশলী আমিনুর রহমান, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শামসুল আলম, এলজিইডির সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ যোগসাজশে গাবতলী পৌর এলাকার রাস্তা, ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য ৮২ লাখ টাকার দরপত্র লটারি না করেই পছন্দের ঠিকাদারকে কাজটি পাইয়ে দেয়। এই কাজের জন্য অভিযুক্তরা বিভিন্ন কৌশল করেন, যা দুদকের তদন্তে বের হয়ে আসে।
সমন্বিত দুদক বগুড়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, ঠিকাদার আতাউর রহমানের দায়ের করা মামলায় তদন্ত শেষে চার্জশীট প্রদান করা হয়। পরে মামলার আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসেন। সোমবার জামিনের থাকা অভিযুক্তরা বগুড়া জেলা জজ আদালতে গিয়ে হাজির হয়ে আবারও জামিনের আবেদন করে। আদালতের বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ জানান, ৮২ লাখ টাকার দরপত্র লটারি না করেই পছন্দের ঠিকাদারকে কাজটি পাইয়ে দেয়ার ঘটনায় ২০১৫ সালে মামলা দায়ের হয়। সেই মমালায় পৌর মেয়রসহ ৫ জনকে আদালতের বিচারক জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ জারি করেন। এই মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা এ্যাড. রেজাউল করিম মন্টু।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল