২৭ জানুয়ারি, ২০২০ ১৭:৩৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল-সেন্টুর আগাম জামিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল-সেন্টুর আগাম জামিন

প্রতীকী ছবি

ডিজিটাল আইন মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলম এবং জেলা আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা আমানুল হক সেন্টু। 

সোমবার হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি উবায়দুল হাসান এবং মো. জহিরুল হকের দ্বৈত বেঞ্চ শুনানি শেষে তাদেরকে ৬ সপ্তাহের জামিনের আদেশ দেন। এরপর তাদেরকে সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে হবে। 

আদালতে তাদের পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আকসির এম চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আলী আজম ও আলী আহসান। 

গণমাধ্যমে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ায় গত ২৩ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আলম এবং যুদ্ধকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার মুজিব বাহিনীর কমান্ডার আমানুল হক সেন্টুকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার। 

মামলায় ১ নম্বর সাক্ষী করা হয় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সদর সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে। এজাহারে গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জেলা পরিষদ মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনার নামে হীন উদ্দেশে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবং বাদী ও ১ নম্বর সাক্ষীর সুনাম ক্ষুন্ন করতে আসামিরা গোপন চক্রান্ত ও শলাপরামর্শ করে অনুষ্ঠান শুরুর আগে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে কিছু ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়। 

গেল বিজয় দিবসে জেলা পরিষদ আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে হামলা হলে এ জন্য জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারকে দায়ী করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন শফিকুল আলম ও আমানুল হক সেন্টু। পরদিনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মামুন ওই ঘটনায় তাকে জড়িত করার প্রতিবাদ এবং শফিকুল আলম ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং সেন্টু নামধারী মুক্তিযোদ্ধা বলে মন্তব্য করেন। এরপর ২৩ ডিসেম্বর এক মানববন্ধনেও মামুন অনুরূপ বক্তব্য দেন।

এরপর ২৬ ডিসেম্বর আমানুল হক সেন্টু ও শফিকুল আলমকে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের পক্ষে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। এরপর ১২ জানুয়ারি অ্যাডভোকেট শওকত আলীর মাধ্যমে ওই লিগ্যাল নোটিশের জবাব দেন আমানুল হক সেন্টু ও শফিকুল আলম। এতে আল মামুন সরকারের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়ে বলা হয় জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৫৮ সালের ১লা মার্চ। মুক্তিযোদ্ধের সময় আল মামুন সরকারের বয়স ছিল আনুমানিক ১২ বৎসর। আল মামুন সরকারের শ্বশুর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ওরফে ফরিদ মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একজন রাজাকার ছিলেন এবং স্বাধীনতা পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর খুনী খন্দকার মোশতাকের বিশ্বস্ত সহচর ছিলেন বলে সেন্টু তার নোটিশের জবাবে উল্লেখ করেন। ।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর