ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে হরিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৪ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী এখনো তাদের প্রবেশ পত্র পায়নি। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনিশ্চয়তা নিয়ে প্রবেশপত্রের আশায় প্রতিদিনই স্কুলে এসে ঘুরে যাচ্ছে তারা। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান ও আইসিটি শিক্ষক মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তাদের। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ করলে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় অকৃতকার্য করার হুমকিসহ নানা ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা।
পরীক্ষার্থীরা জানায়, ওই দুই শিক্ষক ফরম পুরণের জন্য বিনা রশিদে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ১৯শ ৫০ টাকা ও অন্যান্য বিভাগের জন্য ১৮শ ৫০ টাকা করে নিলেও ব্যাংকে সময়মত টাকা জমা দেননি। ফলে বোর্ড থেকে তাদের প্রবেশ পত্রও আসেনি। জানা যায়, ওই বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে চার জন, বাণিজ্য বিভাগে চার জন ও মানবিক বিভাগে ৩৬ জনসহ মোট ৪৪ জন পরীক্ষার্থী টাকা জমা দিয়েছে। টাকা জমার রশিদ চাইলে পরে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান জানান, তিনি অনেক আগেই আইসিটি সিক্ষক সোহেল রানার কাছে টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তিনি টাকা জমা না দিয়ে ভুয়া জমা রশিদ এনে দেন, যা তার কাছে সংরক্ষিত আছে। প্রধান শিক্ষক তার গাফিলতির কথা স্বীকার করে বলেন, যখন আমি বোর্ডে গিয়ে জানতে পারি, টাকা জমা হয়নি, তখন আমি টাকা জমা দিয়ে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আনার চেষ্টা করেছি। এ বিষয়ে সোহেলের উপর নির্ভর আমার ভুল হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আইনগত যে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলে আমি মেনে নেবো।
এ ব্যাপারে শিক্ষক সোহেল রানা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সব কিছুই ঠিক আছে। আমার কোনো দায় নেই। ১ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ে প্রমাণ দেখাতে পারবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা বলেন, পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে প্রবেশপত্র আনার ব্যবস্থা নিয়েছি। পরে তদন্তপূর্বক এ গাফিলতির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন