ভোলার দৌলতখান উপজেলায় দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে ১০ ভুয়া পরীক্ষার্থীসহ জাকির হোসেন নামের এক মাদ্রাসার সুপারকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় দৌলতখান আবু আবদুল্লা কলেজ ভ্যানু থেকে তাদের আটক করা হয়।
পরে দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ ভ্রাম্যামাণ আদালতের মাধ্যমে মাদ্রাসা সুপারকে ২ বছর এবং ফাজিল (স্নাতক) শ্রেণির ছাত্রী লিজা আক্তারকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আটককৃত অপর ৯ জন কিশোরী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা হলেন- নাইমা আক্তার, রাবেয়া সুলতানা, ময়না আক্তার, হামিদা বেগম, নাজমুন নাহার, বিবি খাদিজা, রুমা বেগম, ইমা আক্তার ও ফারজানা আক্তার।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, মঙ্গলবার হাদিস দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা চলাকালে দৌলতখান উপেজলার জয়নগর বালিকা দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী হিসেবে লিজা আক্তার নামে অন্য মাদ্রাসার ফাজিল শ্রেণির একজন এবং দশম শ্রেণির ৯ জন পরীক্ষা দিচ্ছিল। গোপন সংবাদ পেয়ে ভুয়া এই পরীক্ষার্থীদেরকে আটক করা করা হয়। পরে আটককৃতরা মাদ্রাসা সুপার জাকির হোসেনের প্ররোচনায় ছবি পাল্টিয়ে অন্যের পরীক্ষা দিতে আসার বিষয়টি স্বীকার করে তারা। এ ঘটনায় মাদ্রাসার সুপার জাকির হোসেনেক আটক করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, এ ধরণের গর্হিত অপরাধের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় জয়নগর বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে ২ বছরের কারাদণ্ড এবং ফাজিল শ্রেণির ছাত্রীকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কিশোর অপরাধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ