মানিকগঞ্জে এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে আলুর ভাল দাম পাওয়ায় চাষিদের মুখেও হাসি ফুটেছে। বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে নতুন আলুর দাম ও চাহিদা বেশি। শুরুতেই বাড়তি দাম পেয়ে কৃষকদের মাঝে আলু আবাদে আগ্রহ বেড়েছে।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর আলুর আবাদ হয়েছে ১৮৮৩ হেক্টর জমিতে যা গতবারের চেয়ে ১০৫ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টরে আলুর ফলন হয়েছে ২২/২৫ মেট্রিক টন। ঘিওর, সাটুরিয়া শিবালয় সহ মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলায় এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে নতুন আলুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ক্ষেত থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া আলু উত্তোলন করার পর কৃষকরা ঢাকার কাওরানবাজার সহ বড় বড় আড়ৎ গুলোতে বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ পড়েছে ৬-৭ টাকা। এর সঙ্গে জমি থেকে আলু উত্তোলন, বাজারজাতকরণে পরিবহন ও শ্রমিক খরচ মিলে প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে খরচ পড়েছে ৮-১০ টাকা। পাইকেরি দরে বিক্রি করছে ১৬-২০ টাকা কেজি। এ অঞ্চলে বেশিরভাগ জমিতে এলগা, মূলটা, কার্ডিনাল, মালতা, গ্যানোলা ও পোট্রোনাছ, বিনেলা জাতের আলু রোপণ করা হয়। ভাল দাম পাওয়ায় আগামীতে আলু চাষ বাড়বে বলে জানান আলু চাষিরা।
আলু চাষি কুসুম আলী, হযরত, কাদের সহ অনেকেই জানান, গতবারের চেয়ে এবার ফলন এবং দাম দুটোই ভাল। আগামীতে আরো বেশী জমিতে আলু আবাদ করবো। এলাকায় কৃষি অফিসের লোকজন কম আসে বলে কৃষকরা অভিযোগ করেন।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর ভারপ্রাপ্ত উপ- পরিচালক আবু মোঃ এনায়েত উল্লাহ বলেন, গতবারের চেয়ে এবার আলুর আবাদ বেশি হয়েছে। দাম ভাল থাকায় কৃষকরা লাভবান হবে। আগামীতে আলুর আবাদ আরো বেশি হবে বলে আশা করছি।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ