কুমিল্লার মুরাদনগরে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করার সময় জাহিদ হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার তাকে কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
আটক হওয়ার সময় তার হাতে ছিল ওয়াকিটকি। পকেটে ছিল সাংবাদিক, মানবাধিকার সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থাসহ পাঁচটি সংস্থার পরিচয়পত্র।
জাহিদ হোসেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার জগতপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
সূত্র জানায়, বুধবার বিকালে মুরাদনগর উপজেলার পূর্ব ধৈইর পশ্চিম ইউনিয়নের খৈয়াখালী বাজারে একটি ফার্মেসিতে গিয়ে নিজেকে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেয় জাহিদসহ তার দুই সহযোগী। পরে ওই ফার্মেসির কাগজ পত্র দেখার পর ২০ হাজার টাকা দাবি করে। ফার্মেসির মালিক রফিকুল ইসলাম তাকে নগদ এক হাজার টাকা দেন। বাকিটা বিকাশে পাঠিয়ে দিবেন বলে জানান। দর কষাকষি করে ছয় হাজার টাকায় আসে। পরে একটি প্যাডে মোবাইল নাম্বার লিখে দেন।
তবে বের হয়ে যাওয়ার সময় তার আচরণ স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে তাদের বসিয়ে রাখেন। জেলা প্রশাসক বরাবর ফোন করে জানতে পারেন এই নামে তার অফিসে কোনো কর্মকর্তা নেই। তখন পুলিশকে খবর দিলে বাঙ্গরা বাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর চন্দ্র দাস তাকে আটক করে বাঙ্গরা বাজার থানায় নিয়ে আসেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা দুই সহযোগী পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ওই ফার্মেসির মালিক রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রতারক জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন। তাকে কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করা হয় হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন