করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন ঠাকুরগাঁওবাসীকে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিমের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগের নাম দেওয়া হয় ‘সময়ের দাবি’।
এই উদ্যেগের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ এক মাস ধরে (গত ০৬ এপ্রিল থেকে) বাড়ি বাড়ি ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।
‘সময়ের দাবি, ত্রাণ যাবে বাড়ি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসনের এই কর্মসূচির মাধ্যমে যাদের খাদ্য সংকট থাকা সত্ত্বেও লজ্জায় কারো কাছে চাইতে পারছেন না। ত্রাণের স্লিপ নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েও ত্রাণ নিতে সংকোচবোধ করেন তাদেরকে ‘সময়ের দাবি’র মাধ্যমে বাড়িতে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের এই ‘সময়ের দাবি’র হটলাইন ২টি নাম্বারে কল করে গত ৬ এপ্রিল থেকে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছেন পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের ৫ হাজার পরিবার।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান জানান, সময়ের দাবি ত্রাণ যাবে বাড়ি এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আমরা এ পর্যন্ত ৫ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে পেরেছি।
জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান বলেন, অনেক মানুষ আছে যাদের বাড়িতে খাদ্য সংকট থাকা সত্ত্বেও কারও কাছে কিছু চাইতে পারে না। বিশেষ করে এমন কিছু মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা জেলা প্রশাসন এই উদ্যোগটি গ্রহণ করি। আমরা চাই না কেউ যেন এই করোনাভাইরাসের দুর্যোগময় সময়ে না খেয়ে থাকে।
পরিবারগুলোকে ত্রাণসমাগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, আলু, কাঁচাবাজার সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী প্রতিদিন বিকেলে জেলা প্রশাসনের টিম ৬টি গাড়িতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে ‘সময়ের দাবি’।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম