পঞ্চগড়ের লাল সোনা খ্যাত মরিচ নিয়ে এবার চরম সংকটে পড়েছেন চাষিরা। ব্যাপক ফলন হলেও একদিকে করোনা ভাইরাস ঠেকাতে লকডাউনের ফলে অর্ধেকে নেমেছে মরিচের দাম। অন্যদিকে মরিচের টেপা পচা (অ্যানথ্রাক্সনোজ) রোগে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মরিচ চাষিরা।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার একর জমিতে লাগানো মরিচের আবাদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে পরিপক্ক হওয়ার আগেই গাছেই পচে যাচ্ছে মরিচ। বেশির ভাগ মরিচের গায়ে ঝলসানো সাদা দাগ হয়ে ঝড়ে পড়ছে মাটিতে। সেই সঙ্গে হলুদ হয়ে মরে যাচ্ছে মরিচের গাছগুলো। এতে লাভের মুখ তো দুরের কথা উৎপাদন খরচ উঠানোই কঠিন হবে বলে মনে করেন চাষিরা।
পঞ্চগড় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ১০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে আটোয়ারী উপজেলায়। স্থানীয় জাতের মরিচ ছাড়াও উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড) জাতের বাঁশ গাইয়া, জিরা, মল্লিকা, বিন্দু, হটমাস্টার, সুরক্ষাসহ বিভিন্ন জাতের মরিচের ব্যাপক চাষ হয়েছে। উঁচু যেসব জমিতে অন্য ফসল ভাল হয়না সেসব জমিতেই বেশি মরিচ চাষ করেছেন চাষিরা। তবে এবার টেপা পচা রোগের কারণে মরিচের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবু হানিফ চাষিদের সহযোগীতা না করার কথা অস্বীকার করে বলেন, এই রোগে অতঙ্কিত না হয়ে ছত্রাক নাশক ছিটানোর পরমার্শ দিচ্ছেন আমাদের মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল