সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির ৪০ দিনে গতি পেয়েছে মাদক ব্যবসা। সীমান্ত প্রহরায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অতিরিক্ত চৌকি বসালেও বন্ধ করতে পারেনি মাদক কারবারীদের অবাধ যাতায়াত। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্বেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বানের স্রোতের মত বেনাপোলসহ আশেপাশের এলাকায় আসছে মাদক কারবারীরা।
সীমান্তবর্তী পুটখালির আশপাশের বেশ কিছু গ্রামে বসেছে মাদকের হাট। প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ফেনসিডিল। বেনাপোল বাজারের ওলি-গলির মুখে পড়ে থাকছে খালি বোতল। কাঁচের বোতলের পরিবর্তে এখন প্লাস্টিক বোতলে ফেনসিডিল বাজারজাত হচ্ছে, ফলে এটি এখন ব্যবহারকারীদের নিকট বেশ জনপ্রিয়। বিক্রির ধরনও পাল্টিয়েছে। অনলাইনেও বিক্রি হচ্ছে ফেনসিডিল। গ্রাহকের চাহিদা মতো পৌঁছে দিচ্ছে বিক্রেতারা। তবে সেক্ষেত্রে দাম একটু বেশি।
বেনাপোলের বারপোতা অন্চলের কিছু গ্রামে প্রকাশ্যে ফেনসিডিল বিক্রি হয়। প্রশাসন নাকি জানে, তারপরও মাঝে মধ্যে পুলিশ হানা দেয়। তবে আইন প্রয়োগকারি সংস্থার হাতে গুটি কয়েকজন আটক হলেও অধরা থেকে যাচ্ছে বড় ব্যবসায়ীরা। দেশের অধিকাংশ জেলা লকডাউনের আওতাভুক্ত থাকলেও ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার আর মোটরসাইকেল নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মাদক কারবারীরা। ফলে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে প্রশাসনের নজরদারী। সচেতন মানুষের অভিযোগ যেখানে পাঁয়ে হেঁটে একবাড়ী থেকে অন্য বাড়ী যাওয়া যায় না সেখানে কিভাবে মাদকসেবী ও চোরাচালানীরা সীমান্ত এলাকা চষে বেড়ায়।
সম্প্রতি পুলিশ ও বিজিবি'র হাতে আটক হয়েছে মাদকের বেশ কিছু চালান। আটক হয়েছে চোরাকারবারি ও বেশ কয়েকটি যান।
বেনাপোল থানা ও বিজিবি ক্যাম্প থেকে জানা যায়, গত ২রা মে শার্শার কায়বা সীমান্ত থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪৪৮ বোতল ফেনসিডিল ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার, একই দিন বেনাপোল পোর্ট থানার শিবনাথপুর গ্রাম থেকে ৫শ' গ্রাম গাঁজাসহ মহিদুল ইসলামকে আটক, ১লা মে শার্শার পাকশিয়া থেকে ৩৬ বোতল ফেনসিডিল ও ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪শ' টাকা সহ শফিকুল ইসলাম নামে এক মাদক ব্যবসায়ী আটক, একইদিন বেনাপোল ভবেরবেড় গ্রাম থেকে ৭৫ পিস ইয়াবাসহ আলেয়া খাতুন নামে এক নারী, গত ২০ এপ্রিল বিজিবি নজরুল ইসলাম সুমন নামে বরিশাল সরকারী মডেল স্কুল এন্ড কলেজের এক সহকারী শিক্ষককে বেনাপোল পোর্ট থানার শিকড়ী বটতলা থেকে ৮২ বোতল ফেনসিডিল ও একটি মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে মাদক উদ্ধার ও সংশ্লিষ্টদের আটক করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল