এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে শহরের বাগানবাড়ি ও হালদারপাড়া এলাকার যুবকদের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মিকাঈল হোসেন হিমেলসহ ২২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। গত বুধবার বিকেলে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মিকাঈল হোসেন হিমেল (২৮), সোহাগ (২৫), আরিয়ান (২২), আরিফ (২০), আমীর হোসেন (২২), নাইম ইসলাম (৩৮), গাফফার (২৩), হাবিব (২০), সিয়াম (১৮), নাবিল (২২), সুলতান রাজা (২৮), হাফিজ (১৯), আতিক ইসলাম (২৩), রায়হান রানা (২৩), এস.এম জাকির হোসেন (২২), আকরাম খান (২৪), আনিসুর রহমান (৩৪), আকাশ (১৮), মেহেদী হাসান (১৬), শেখ মোঃ মামুন (২৫), তপু আহমেদ (১৮) ও তরিকুল ইসলাম (১৮)। এদের বাড়ি শহরের বিভিন্ন মহল্লায়।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে দিকে বাগানবাড়ি এলাকার ছেলেরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হালদারপাড়া মহল্লায় হামলা করে। পরে হালদারপাড়ার ছেলেরা তাদেরকে ধাওয়া করলে দুই মহল্লার যুবকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে বাগানবাড়ির যুবকরা হালদারপাড়ার বেশ কয়েকটি বাড়ির গেইট ও দরজা জানালার কাচ ভাংচুর করে। খবর পেয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে রাতের বেলা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মিকাঈল হোসেন হিমেলসহ ২২জনকে গ্রেফতার করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, বলেন, হামলা ভাংচুরের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে পুলিশ ২২জনকে গ্রেফতার করেছে। এসময় তাদের কাছে দা সহ দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়। বুধবার বিকেলে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন