বিশেষ ওএমএস তালিকা কেলেঙ্কারিতে ডিলারশিপ হারিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মো. শাহআলম। বুধবার বিকেলে জেলা ওএমএস কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কমিটির সদস্য সচিব জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবির নাথ চৌধুরী এটি নিশ্চিত করেছেন।
একই সঙ্গে ৮৪ ধনি ব্যক্তি ও দ্বৈত নাম, এক ঘরের দুই জনের নাম, ঠিকানা খোঁজে না পাওয়া এমন আরও সাত জনসহ মোট ৯১ জনের তালিকাও বাদ দেয়া হয়েছে বলে ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়। ওএমএস কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌঁলা খান ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন।
জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক, হোটেল রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি ও জেলা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সদস্য সচিব আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব শাহ আলমের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী-কন্যাসহ পরিবারের ১৩ সদস্যের নাম ওএমএস চাল ক্রয়ের তালিকায় রাখার অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনার খবর প্রকাশের সাথে সাথে জেলা ওএমএস কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান তদন্তের নির্দেশ দেন। এক দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তদন্ত কাজ চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা শাহআলমের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের সত্যতা পান। গত ১১ মে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরীর সুপারিশে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান ডিলার ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহআলমকে কেনো ডিলার থেকে বাদ দেয়া হবে না মর্মে ব্যাখ্যা তলব করেন।
জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, ওএমএস কমিটির বৈঠকে ডিলার শাহআলমের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তার ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পর থেকেই আমরা ব্যবস্থা নিতে শুরু করি।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে মো. শাহ আলম তালিকায় তাঁর স্ত্রীর নাম থাকার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে অন্যান্য স্বজনরা গরিব বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার