লালমনিরহাট রেলের বিভাগীয় রেলওয়ে সদর দফতর থেকে মোগলহাট রেল স্টেশনের দূরত্ব মাত্র ১০ কিলোমিটার। ওই রেল স্টেশনটি রেল বিভাগ ২০০৩ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে। ফলে রেলের মূল্যবান সম্পদগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। চুরি হচ্ছে রেলের স্লিপার থেকে সব কিছুই। এ রেল রুটটি ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ভারতের সাথে পণ্য পরিবহনের জন্য চালু ছিল।
জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক বিভাগ ভারতের সাথে রেল যোগে পণ্য পরিবহনের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল, যা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। অতি সম্প্রতি লালমনিরহাটের পার্শ্ববর্তী ভারতের কোচবিহার জেলার এমপি পার্থ প্রতিম রায় এই রেল রুটটি পূণরায় চালুর জন্য ভারতীয় লোকসভায় জোড়ালো দাবি উপস্থাপন করেন। ফলে ভারত সরকারও এ বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে মর্মে সে দেশের সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।
লালমনিরহাট-কোচবিহার-আলীপুর দুয়ার-ভূটান এই রেল রুটটি ডুয়েল গেজ ডবল লাইন চালু হলে ভূটানের সাথে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন সহজতর হবে। কারণ এই রুটে ভূটানের দূরত্ব কম। এই রেল রুটটি চালু হলে ভারত, নেপাল, ভূটান ত্রি-দেশীয় পণ্য পরিবহনে রেল বিভাগ যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে। এতে সড়ক বিভাগের উপর চাপ কমবে এবং কার্বন নির্সরণ বন্ধ হয়ে পরিবেশ দূষণ রোধে সহায়ক হবে। এই কারণে এলাকাবাসী দফায় দফায় মানববন্ধন করে আসছে এই রেল রুটটি চালু করার জন্য।
সম্প্রতি এলাকাবাসী লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে কার্যালয়ের সামনে সমবেত হয়ে রুটটি চালুর ব্যাপারে স্মারকলিপি প্রদান করে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ভারতের সাথে পূর্বের ১২টি বন্ধ রুটের মধ্যে ১টি রুট চালু হলে লালমনিরহাটের রেল বিভাগের কর্ম-চঞ্চলতা বৃদ্ধি পাবে। তাই দেশের স্বার্থে পূর্বের ন্যায় পরিত্যক্ত লালমনিরহাট-মোগলহাট রেললাইন পূণরায় চালু ও ভারতের সাথে রেল সংযোগ পূণস্থাপন করার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছে লালমনিরহাট জেলাবাসী।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে কার্যালয়ের ম্যানেজার তাপস কুমার দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে বিষয়টি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম