পেশায় বাসের হেলপার হলেও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন উজ্জ্বল (২৫)। মাদক সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন তিনি। ঘটনার ৬ মাস পর পুলিশ এ হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে। এ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার আসামি। নিহত উজ্জ্বল বগুড়া শহরতলীর গাজী পালশা এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
শুক্রবার দুপুরে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান জানান, বাসের হেলপার উজ্জ্বল ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত ছিল। গত বছরের ২৮ অক্টোবর তার কাছে বিনা টাকায় ইয়াবা চায় সিরাজুল ইসলাম গিটুসহ আরও কয়েকজন।
তারা উজ্জ্বলের কাছ থেকে নিয়মিত ইয়াবা ক্রয় করতো। কিন্তু ফ্রিতে ইয়াবা না দেওয়ায় তারা উজ্জ্বলের উপর ক্ষিপ্ত হয়, কৌশলে ওই দিন রাত ১০টার দিকে উজ্জ্বলকে ডেকে নেন গিটুসহ কয়েকজন। এরপর তারা এক সঙ্গে ইয়াবা সেবন করে বাড়ি ফেরার পথে উজ্জ্বলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
ঘটনার পরদিন নিহতের মা আঞ্জুয়ারা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের নামে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সিরাজুল ইসলাম গিটু (২৭) নামে এক আসামিকে গ্র্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার উজ্জ্বল হত্যার দায় স্বীকার করে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে জবানবন্দি দেন আসামি গিটু। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৬ মাস পর এ মামলার রহস্য উদঘাটন হলো।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন