রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না মা মাছ ও পোনা নিধন। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও সক্রিয় পোনা মাছ নিধনকারীরা। প্রায় প্রতিদিন গোপনে শিকার করে যাচ্ছে কাপ্তাই হ্রদের মা ও পোনা মাছ। তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন অধিদফতর (বিএফডিসি)। প্রায় অভিযানে আটক করা হচ্ছে জাল। উদ্ধার করা হচ্ছে মাছ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১ মে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলধারা ও বাংলাদেশের প্রধান মৎস্য উৎপাদন কেন্দ্র কাপ্তাই হ্রদে মাছধরা ও পোনামাছ নিধন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। সে সময় রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ও বিএফডিসির যৌথ উদ্যোগে এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। মূলত রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুষ্ঠু ও প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাছধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সে সময় একই সাথে এ নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানান রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ।
কিন্তু তারপরও রক্ষা করা যাচ্ছে না কাপ্তাই হ্রদের মা ও পোনা মাছ নিধন। কিছু অসাধু মৎস্যজীবী গোপনে নিধন করে যাচ্ছে হ্রদের মাছ। যদিও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের সকল কর্মকর্তা।
এ ব্যাপরে রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার মধ্যে রাতেও কিছু অসাধু মৎস্য শিকারীর জাল কাপ্তাই হ্রদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জেলার বালুখালী উপজেলায় অভিযানে যাই। কিন্তু এর আগেই অসাধু জেলেরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ২টি বোট, একটি কাচকি জাল ও প্রায় ১০ কেজি বিভিন্ন রকম মিশ্র মাছের পোনা। বন্ধকালীন আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। মৎস্য নিধনকারীদের কিছুতেই ছাড় দেওয়া হবে না।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম