বরিশালের ঈদ বাজারে মানুষের ঢল নেমেছে। শারীরিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা করছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা। এ কারণে এবারের ঈদ বাজার থেকে ঘরে ঘরে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এদিকে স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে শিশুসহ পরিবারের একাধিক সদস্য নিয়ে কেনাকাটা করতে আসায় ১০টি পরিবার এবং ক্রেতা সামাল দিতে না পাড়ায় ৩টি দোকান থেকে ১৬ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে অবৈধ জনসমাগম করায় ৩টি দোকান সিলগালা করে দেয়া হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান, শরীফ মো. হেলালউদ্দিন ও মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে আজ শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়।
ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, বাজারে ততই বাড়ছে ক্রেতার আনা গোনা। বিশেষ করে শাড়ি, কাপড়, তৈরী পোষাক, পাদুকা ও প্রসাধনীর দোকানে ভীর ঠেলেও সরানো যাচ্ছে না। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর প্রধান ঈদবাজার চকবাজার, কাঠপট্টি, পদ্মাবতি ও বাজার রোড এলাকায় হাজার হাজার ক্রেতার সমাগম ঘটে। দুপুর পর্যন্ত অত্যাধিক চাপ থাকে ক্রেতারা। নগরীর প্রধান প্রধান বানিজ্যিক কেন্দ্রে ক্রেতাদের গাদাগাদি করে, গা ঘেষে, একজন অন্যজনকে ঠেলে ঈদে পছন্দের পন্য কিনতে দেখা গেছে। আবার অনেকে শিশুদেরও নিয়ে আসছেন কেনাকাটায়। ঈদ কেনাকাটায় স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করায় ১০ পরিবার এবং ক্রেতার ঢল সামলাতে না পাড়ায় ৩টি দোকান থেকে ১৬ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে দোকানে অধিক মানুষ জড়ো করায় ৩টি দোকান সিলগালা করে দেয়া হয়।
জনস্বার্থে এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার