কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের দশ সহস্রাধিক পরিবার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সরকারের এককালীন আড়াই হাজার করে ২ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান পেতে যাচ্ছেন। এ লক্ষ্যে তালিকা চূড়ান্ত করে সফটওয়্যারে আপলোড করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাদের সহযোগিতায় সরকার কল্যাণমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে ৫০ লাখ পরিবারকে মোবাইল ফোনে বিকাশ, নগদ, রকেট ও শিওরক্যাশে এককালীন আড়াই হাজার (২৫০০) টাকা দেয়া হচ্ছে। রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোলট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকসহ পরিবহন শ্রমিক, হকারসহ নানা পেশার মানুষ এ সুবিধা পাবেন।
নাঙ্গলকোটের একটি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়নের ১০ হাজার ১শ’ সমস্যাগ্রস্ত পরিবার সর্বমোট ২ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা সুবিধা পেতে যাচ্ছেন।
এ লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, শিক্ষক, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ইতোমধ্যে সম্ভাব্য সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ট্যাগ অফিসারদের মাধ্যমে এই তালিকা যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। যারা বিভিন্ন সামাজিক বেষ্টনীর মধ্যে ইতোমধ্যে সুবিধাভোগী ছিলেন, তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত যাচাইকৃত তালিকা সফটওয়্যারে আপলোড করা হয়েছে। সহকারি প্রোগ্রামার ও উদ্যোক্তার মাধ্যমে এ কাজ সম্পন্ন করা হয়।
নাঙ্গলকোটের ১০ হাজার ১শ’ পরিবার আগামী ঈদউল ফিতরের আগে মোবাইল ফোনে এককালীন নগদ আড়াই হাজার টাকা করে পাওয়ার কথা রয়েছে। বিকাশ, নগদ, রকেট ও শিওরক্যাশে এ টাকা পাঠানো হবে। পাঠানোর খরচ সরকার আলাদাভাবে বহন করবে। এতে প্রতিটি পরিবার পুরো আড়াই হাজার টাকাই পাবেন।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল জানান, সারাদেশে ৫০ লাখ সমস্যাগ্রস্ত পরিবারকে সরকার এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে অনুদান প্রদানের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। নাঙ্গলকোটে ১০ হাজার ১শ’টি পরিবার এ সুবিধা পাবেন। ঈদের আগেই যাতে সমস্যাগ্রস্ত মানুষ এ সুবিধা পেতে পারেন এজন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের মাধ্যমে তালিকা তৈরি করে যাচাই-বাছাইপূর্বক সফটওয়্যারে আপলোড করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন