মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম হাওলাদারের বিরুদ্ধে এক হত্যা মামলার বাদীর ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম মোস্তাফিজুর রহমান (৫০)।
শনিবার (১৬ মে) দুপুরে নিহত ওই ব্যক্তির লাশ ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত মোস্তাফিজুর রহমান রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর এলাকার মৃত মালেক হাওলাদারের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার দুপুরে বাজিতপুর এলাকার নিজ বাড়ির পাশে একটি মুরগীর খামারে কাজ করছিলেন মোস্তাফিজুর। তাকে একা পেয়ে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে ধাওয়া করে। এ সময় তিনি দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে মাটিতে পড়ে যান। পরে তাকে মারধর করে দুর্বৃত্তরা। মোস্তাফিজুরের চিকিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যান। গুরতর আহত অবস্থায় মোস্তাফিজকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই জুয়েল হাওলাদার বলেন, আমরা ছয় ভাই। এক ভাই খুন হওয়ার এক বছর ৬ দিনের মাথায় আজ (শনিবার) খুন হল আমাদের সবার বড় ভাই। চেয়ারম্যান সিরাজুল আমাদের সব ভাইকে একে একে মেরে ফেলে সে একা রাজত্ব করতে চায়। আমরা ওর সাথে পারছি না। কিছু না বললেও ওই চেয়ারম্যান ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে আমাদের ওপর বারবার হামলা চালায়। চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমার ভাইকে একা পেয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়ে লাঠি দিয়ে পিটাইয়া হত্যা করেছে। আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয় জানতে বাজিতপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, আজ সকালে থেকে আমি ভিজিডির চাল বিতরণ করেছি। পরে বাজারে মাইকিং করছি। আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নই।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শওকত জাহান বলেন, হামলার বিষয় আমরা এখনও কিছু বলতে পারছি না। ওই এলাকায় চেয়ারম্যানের সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল নিহতের সাথে। যা সবাই জানে। এর আগেও একটি হত্যা মামলায় চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করা হয়েছিল। আমরা সেই বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে সর্তক অবস্থানে আছি। এছাড়াও খবর পেয়ে আমরা ওই এলাকা সরেজমিন গিয়েছি। আমরা নিহত পরিবারের পাশে আছি। তবে এখনও তারা আমাদের কাছে কোন অভিযোগ করেনি। তারা যদি অভিযোগ দেন তাহলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ মে মোস্তাফিজুরের ছোট ভাই সোহেল হাওলাদার খুন হয়। এ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন ওই চেয়ারম্যান।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ