চাঁদপুরে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার শেষ রাতের মধ্যে এই ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে করোনা উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুর শহরের ট্রাকরোডে ছকিনা বেগম (৮০) নামে নারীর মৃত্যু হয়। শুক্রবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ওই নারীর লাশ দাফ সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু সড়কের আমজাদ খান বাড়িতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মরহুম খানের স্ত্রী সাহিদা বেগম (৪৫) মৃত্যুবরণ করেন। বিকেলে তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।মতলব উত্তর উপজেলার মোসলেম বেপারী (৬৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকা থেকে ফরাজিকান্দি নিজ বাড়িতে আসেন। হোম আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে এ্যাম্বুলেন্সে করে মতলব থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে শুক্রবার বিকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
শুক্রবার রাতে ট্রাকরোড কাজি অফিস সংলগ্ন আবুল খায়ের মিজি (৫২) করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়। তিনি সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের মৈশাদী গ্রামের শহীদ উল্লাহ মিজির ছেলে। তিনি গত ৪ দিন করোনা উপসর্র্গে ভুগছিলেন। শনিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনার নমুনা সংগ্রহের পর দুপুরে নিজ বাড়িতে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সর্বশেষ শুক্রবার রাত ৩টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাংবাদিক আবুল হাসনাত খান (৫৫)। শনিবার সকালে তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। নামাজে জানাযা ও দাফনের জন্য দুপুরে দিকে তার নিজ বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, কোন ধরনের মৃত্যুই আমাদের কাম্য নয়। কোন ব্যক্তির করোনা উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসা না নিয়ে যদি তিনি বাড়িতেই থাকেন, সেটা খুবই দুঃখজনক। কারণ আমরা তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগও পাচ্ছি না। তারা শেষ মুহুর্তে হাসপাতালে আসলে মৃত্যুবরণ করছেন। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া খুবই জরুরি।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন