ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় মেঘনার ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের তিনশ বছর পুরনো চকবাজার, চাতলপাড় ও বিলেরপাড়ের বসতভিটা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। বিলীনের পথে রয়েছে বিলেপাড়ের ৩০ বছর পুরনো একটি মসজিদ। গত কয়েক বছর ধরেই মেঘনার ভাঙনে ব্যবসায়ী ও গ্রামবাসী আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
এলাকাবাসী জানান, গত তিন বছর ধরে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের চাতলপাড়, উপজেলার শত বছর পুরনো চকবাজার ও বিলেরপাড় মেঘনার ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। নদীর তীরবর্তী চকবাজারের ৫০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও চাতলপাড়ের ৫০/৬০টি বসতভিটা, বিলেরপাড়ের ১০-১২জনের বসতভিটাসহ জায়গা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকিতে রয়েছে চাতলপাড়, চকবাজার ও বিলেরপাড়ের আরো শতাধিক ভবন। নদীর উপারে হাওরের উপর দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলায় সড়ক নির্মাণ, চকবাজারের অনতিদূরে জেগে উঠা চর ও একটি ইটভাটার কারণে তীব্র স্রোতের গতি পরিবর্তনে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। চাতলপাড়, চকবাজার ও বিলেরপাড়ের মানুষের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাজার, মসজিদ, মন্দিরের অস্তিত্ব এখন নদীতে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পাড় ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে এমন অবস্থা হয়েছে যে, বিলেপাড় জামে মসজিদের উত্তর দিকের চারটি স্তম্ভের (পিলার) নিচের মাটিও নদীতে চলে গেছে। যে কোনো মুহূর্তে মসজিদটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল আহাদ বলেন, তিন বছর ধরেই ইউনিয়নের শত বছর পুরনো চকবাজার, চাতলপাড় ও বিলেরপাড়ে ভাঙ্গণ অব্যাহত রয়েছে। নদী খননের কারণে নদীর উত্তরদিকের চারভাগের দিনভাগ মাটি ভরাট হয়ে নতুন করে চর উঠেছে। উত্তরদিকে একটি ইটভাটও রয়েছে। চর বাড়ছে, ইটভাটার পরিমানও বাড়ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্বে) রঞ্জন কুমার দাস বলেন, ভাঙনরোধে আমরা প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল