গৃহকর্মী মারুফা ধর্ষণ ও হত্যার বিচার দাবি করে নেত্রকোনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি। মঙ্গলবার ১৬ জুন সকাল সাড়ে ১১ টায় স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির সহযোগিতায় জেলা প্রেসক্লাব হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এডভোকেট দেলোয়ারা বেগম।
এতে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনায় মোহনগঞ্জ সমিতির আহবায়ক ইকবাল হাসান, আয়োজক কমিটির সম্পাদক আলপনা বেগম, নারী নেত্রী কহীনুর বেগম, নিহত মারুফার মা আকলিমা আক্তার, অপর ভিকটিম সন্ধ্যা রানি।
এসময় হত্যার দায়ে অভিযুক্ত বারহাট্টার সিংধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ মোরশেদ কাঞ্চনসহ অন্যান্য আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ৯ মে কাঞ্চন চেয়ারম্যান এর মোহনগঞ্জ বাসায় কিশোরী গৃহকর্মী মারুফা আত্মহত্যা করেছে বলে চেয়ারম্যান নিজেই হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে লাশের গায়ে বিভিন্ন স্পর্শ কাতর স্থানে জখমের চিহ্ন দেখে হাসপাতাল ও স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
কিন্তু চেয়ারম্যানের ভয়ে পরের দিন লাশ গ্রামের বাড়ি বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের নিয়ে যেতে পারেনি। পরবর্তীতে মারুফার নানার বাড়ি কলমাকান্দায় লাশ দাফন করা হয়।
এদিকে থানায় চেয়ারম্যানের প্রভাবে হত্যা মামলা না নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে স্বাক্ষর করাতে মারুফার মাকে বাধ্য ভয় দেখানো ও আটকে রাখার অভিযোগ করে মারুফার মা।
এরপর ঘটনার দুই দিন পর ১১ মে মারুফার মা ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসীর হস্তক্ষেপে অবশেষে মামলা নিয়ে রাতে আটক করে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে।
১২ মে আদালতে সোপর্দ করলে ১৩ মে লকডাউনে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ১৪ মে তিনি জামিনে বের হয়ে যান।
এদিকে জেলার সর্বত্র এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করে সুষ্ঠু তদন্ত এবং দীর্ঘদিনের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না দেয়ায়।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা