বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা যখন মানবিকতার সর্বোচ্চ উদাহরণ সৃষ্টি করছেন ঠিক তখনই নড়াইল সদর হাসপাতালে এক প্রতিবন্ধীর প্রতি চরম অমানবিক আচরণের অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী ওই মূক-বধির প্রতিবন্ধীর নাম চান্দু সরকার (৬০)। তার বাড়ি নড়াইল সদর থানার আউড়িয়া ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামে।
জানা যায়, নড়াইল সদর থানার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছ থেকে সরকারের প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের জন্য চান্দু সরকার একটি ফরম নিয়ে সই করার জন্য আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নড়াইল সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. তমিজ শেখের রুমে যান। এসময় চান্দু সরকারের সঙ্গে ছিলেন তার ভাইয়ের স্ত্রী।
ভুক্তভোগী চান্দু সরকারের সাথে থাকা তার ভাইয়ের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, 'চিকিৎসক ডা. তমিজ শেখের রুমে প্রবেশ করার সাথে সাথে তিনি জানতে চান টাকা নিয়ে আসছেন কিনা। তখন কিসের টাকা জানতে চাইলে ডা. তমিজ শেখ উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমি জানি এগুলো ধান্দাবাজি, উনি বোবা এবং বধির নয়।'
'তখন চান্দু সরকারের সাথে আসা তার ভাইয়ের স্ত্রী এই অভিযোগ অস্বীকার করলে ডা. তমিজ তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং রুম থেকে বের করে দেন।'
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে চান্দু সরকারের ভাইয়ের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, 'চান্দু সরকার একজন বয়স্ক লোক এবং মূক-বধির ব্যক্তি। করোনা পরিস্থিতিতে মানবেতর জীবনযাপন করায় সরকারি সহযোগিতার জন্য আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে ফরম সংগ্রহ করে ডাক্তার তমিজ শেখের কাছে ফরমটি স্বাক্ষর করাতে যাই। কিন্তু তিনি মিথ্যা অভিযোগ করে আমাদের বের করে দেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম