জেলেদের চাল আত্মসাত মামলায় সাময়িক বরখাস্তকৃত বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য নূরে আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে কেদারপুর স্টিমারঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বাবুগঞ্জ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, চাল আত্মসাত মামলার আসামি নূরে আলম ২ মাস আত্মগোপনে থাকার পর মঙ্গলবার সকালে তাকে স্থানীয় স্টিমারঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, গত ১৫ এপ্রিল নূরে আলমের বাড়ি থেকে হতদরিদ্র জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ১৮৪ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করে র্যাব-৮। ওই দিনই র্যাব বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করে। সেই থেকে আত্মগোপনে ছিলেন নূরে আলম। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নূরে আলমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাবুগঞ্জ থানার ওসি।
এর আগে সরকারি চাল আত্মসাত মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় চেয়ারম্যান নূরে আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
জেলেদের চাল পরিমাপে কম দেয়ায় গত ১৫ এপ্রিল কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. জাকির হোসেন ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রোকনউজ্জামানকে হাতেনাতে আটক করে র্যাব-৮। পরে তারা র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানায় চেয়ারম্যান নূরে আলম জেলেদের মাঝে বিতরণের জন্য তাদের ৩৫ কেজি করে চাল দিয়েছে। এই খবরের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান নূরে আলমের বাড়ি অভিযান চালিয়ে আত্মসাত করা ১৮৪ বস্তা সরকারি চাল ওইদিন রাতে উদ্ধার করে র্যাব।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন