শরীয়তপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের । শরীয়তপুরের সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শরীয়তপুরের বন্যার পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে বন্যার পানি নেমে এসে শরীয়তপুরের নড়িয়া-জাজিরা, ভেদরগঞ্জ ও শরীয়তপুর সদর উপজেলার রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, মৎস্য খামার, ফসলি জমি, তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের অভাব।
আবার অনেকে রান্নাবান্না করতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এক বেলা খেতে পারলে আরেক বেলা খেতে পারছে না বন্যা কবলিত মানুষ। বন্যার দুর্যোগে পড়ে চরম হতাশার মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে তারা।
সরকারিভাবে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। জেলার ৬ উপজেলার মধ্যে ৪ উপজেলার ২৬ ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভার ৩৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। নদীর পাড় তলিয়ে গিয়ে পদ্মার ডান তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণের বেশ কিছু সাইডের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বাঁধের কাজ চলমান রয়েছে এবং কিছু কিছু ভাঙনপ্রবণ স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা