বগুড়ায় ডাবের পানির সাথে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর গামছা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে এক বৃদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ হত্যার পর বাড়ির মালামাল লুট করে পালিয়ে যাওয়ার সময় এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
সোমবার বিকালে বগুড়া শহরের মধ্য ধাওয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে সদর থানা পুলিশ।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা জানান, বগুড়া শহরের মধ্য ধাওয়াপাড়ার মৃত গোলাম মোস্তফার স্ত্রী শামসুন নাহার (৭০) ও ছেলে সোহেল রানা (৪৫) বসবাস করতো। সোহেল রানার স্ত্রী-সন্তান ঈদের পর বেড়াতে যায়। প্রতিদিনের মত সোহেল রানা সোমবার সকালে কর্মক্ষেত্রে চলে গেলে তার বৃদ্ধ মা শামসুন নাহার একা বাড়িতে থাকেন। বৃদ্ধ মা’র একা থাকার সুযোগে একদল দুর্বৃত্ত বিকাল ৩ টায় প্রাচীর টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তারা ডাবের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়। পরে গামছা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃদ্ধার মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা বাড়ির অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করতে থাকে। লুট করার এক পর্যায়ে সোহেল রানা অফিস থেকে বাড়ি ফিরে গেটে নক করতে থাকে। শব্দ পেয়ে দুই যুবক প্রাচীর টপকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া করে তাইরান নেওয়াজকে (৩৫) আটক করে পুলিশে দেয়। তাইরান একই এলাকার বাসিন্দা। অপর জন পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন