শিরোনাম
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৬:৪৭

মিশ্র ফলের বাগানে সফল সাহাবুল

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

মিশ্র ফলের বাগানে সফল সাহাবুল

বাণিজ্যিকভাবে মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তুলে আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার লালমাটি গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে চাষি সাহাবুল ইসলাম। এরই মধ্যে বাগান তৈরির ২ বছর পর খরচ বাদ দিয়ে ২.৫ লাখ টাকা বার্ষিক আয় হয়েছে তার।

২০১৪ সালে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ঘোড়াঘাটের লালমাটি মৌজার ৮৫ শতক জমিতে ১৮৫টি চায়না-৩ লিচু চারা রোপণ করে সফলতা পান সাহাবুল।

এরপর ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে আরও ১ একর ৬৬ শতক পরিমাণ জমিতে মাল্টাসহ ফলের মিশ্রন বাগান গড়ে তোলেন তিনি। চাষি সাহাবুলের মিশ্র বাগানে ৪৩০টি গাছে এখন ঝুলছে থোকা থোকা মাল্টা।

সাহাবুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে মাল্টার ফলন ভালো হয়েছে। বর্তমানে মাল্টা কেজি প্রতি ১২০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। মিশ্র বাগানে মাল্টাসহ থাই পেয়ারা, আম, ড্রাগন ও লিচু গাছ রয়েছে।

তার মিশ্র বাগানে রয়েছে মাল্টা গাছ ৪৩০টি, থাই পেয়ারা ২৬০টি, কমলা ৬২টি, থাই বারোমাসি আম ৯০টি, বারি-১১ বারোমাসি আম ১০টি, কাশ্মিরী কুল ২০০টি, ড্রাগন ৫০টি, লটকন ২৫টি, সৌদি খেঁজুর ৪৩টি, রাম বুতান ৬০টি ও লিচু ২৫১টি গাছ।

ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. এখলাস হোসেন সরকার জানান, বরেন্দ্র অধ্যুষিত এসব উঁচু জমিতে মাল্টাসহ বিভিন্ন মিশ্র ফল চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন চাষি সাহাবুল ইসলাম। তাকে অনুসরণ করে অনেকে মিশ্র ফল চাষের দিকে ঝুকছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ফল চাষিদের সার্বক্ষণিক সব ধরনের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর