নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মেহেরুন্নেছা গ্রামের কৃতি সন্তান সাবেক ডিভিশনাল ইন্সপেক্টর অব রেজিস্ট্রেশন অফিসার মো. আমানত উল্যাহ আজ সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নানিল্লাহি........রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি’র ভগ্নিপতি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর কোম্পানীগঞ্জের চৌধুরীহাট বি.জামান জুনিয়র হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মরহুম আমানত উল্যাহ। পরে ১৯৬৯ সালে ইস্ট-পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সাব-রেজিস্ট্রার পদে যোগদান করেন। জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে তিনি ভোলা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় দায়িত্ব পালন শেষে ডিভিশনাল ইন্সপেক্টর অব রেজিস্ট্রেশন অফিসার হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে তিনি দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে নিজ দায়িত্ব পালন করেন।
মরহুম আমানত উল্যাহ ছিলেন একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব। চাকরির সুবাদে তিনি ফটিকছড়ি কলেজ, ফটিকছড়ি গার্লস জুনিয়র হাই স্কুল, ফটিকছড়ি নর্থ দরুম প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া কোম্পানীগঞ্জে চৌধুরীহাট কলেজও তার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। কোম্পানীগঞ্জের মেহেরুন্নেছা স্কুলকে মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি মরহুম আমানত উল্যাহ সমাজসেবায়ও অবদান রেখেছেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী তাহেরা বেগম ছাড়াও চার ছেলে এবং তিন মেয়ে রেখে যান। তার সন্তানরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তার ছেলেদের মধ্যে ড. মামুনুর রশিদ দারুস সালাম ইউনিভার্সিটি, ব্রুনাই-এ অধ্যাপনায় নিয়োজিত।
আগামীকাল কোম্পানীগঞ্জের নিজবাড়িতে সকাল নয়টায় নামাজে জানাজাশেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন