৩০ নভেম্বর, ২০২০ ১৬:২২

পাটগ্রামের সেই সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

পাটগ্রামের সেই সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা

মুহাম্মদ হাসান রকি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সাবেক সমবায় কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসান রকির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করে রংধনু ভোগ্যপণ্য সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করে ওই প্রতিষ্ঠান।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ জুলাই বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনলাইন ও ১৯ জুলাই 'সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ' শিরোনামে  প্রিন্টে সংবাদ প্রকাশিত হলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে। সংবাদটি সমবায় অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সমবায় অধিদপ্তর, ঢাকার নির্দেশনায় তিন দফায় তদন্ত সম্পন্ন করা হয় বলে জানা গেছে। বর্তমানে পিরোজপুর জেলার কাউখালি উপজেলায় কর্মরত ওই সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এবার সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ মোতাবেক মামলা রুজু করা হয়েছে।

নিবন্ধক ও মহাপরিচালক, সমবায় অধিদপ্তর, ঢাকা এবং জেলা সমবায় কর্মকর্তা, নীলফামারীর স্মারকে সোমবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলা সমবায় কার্যালয়ে মামলা তদন্তে নোটিশ জারি করা হয়েছে। সরকারি একাধিক দপ্তরে দেওয়া অভিযোগের তদন্ত করেন রংপুর বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের উপ-নিবন্ধক মুহা. শাহীনুর ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত দল। এরপর লালমনিরহাট জেলা ও লালমনিরহাট সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে পৃথক তদন্ত করেন।

তদন্তকালীন বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মশিউর রহমান তদন্ত দলকে জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কিছু অসহায় পরিবারকে ত্রাণ বিতরণের জন্য হাসান রকিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ সময় তিনি প্রত্যেক পরিবারের কাছে ত্রাণের প্যাকেট প্রতি তিনশ' টাকা করে উৎকোচ নেন। গাভী পালন প্রকল্প ও সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতিসমূহে হাসান রকির দুর্নীতি এবং অনিয়মের ব্যাপারে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ নেওয়াজ নিশাত তদন্ত টিমকে স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য দেন। 

তদন্ত টিম প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল মুহাম্মদ হাসান রকির বিরুদ্ধে সমবায়ী প্রতিষ্ঠান ও গাভী পালন প্রকল্পে অনিয়ম এবং দুর্নীতির তথ্য জানান।

অপরদিকে, দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ করায় উপজেলার দুইজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগপত্র সাজান ওই সমবায় কর্মকর্তা। এর পর অভিযোগপত্রে প্রতারণা করে নেওয়া স্বাক্ষর প্রত্যাহারের আবেদনও করেন উপজেলার প্রত্যায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি জিয়াউর রহমান মিন্টু।

লালমনিরহাট জেলা সমবায় কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফরিদ উদ্দিন সরকার বিভাগীয় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর