ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন নারী নেত্রী ও সমাজসেবী অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত। জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ২০১৯ সালে ‘সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী’ ক্যাটাগরিতে তাকে জেলা পর্যায়ে জয়িতা নির্বাচন করা হয়।
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সালমা আহমেদ স্বাক্ষরিত একপত্রে এই নির্বাচনের বিষয়টি জানানো হয়। জয়িতা নির্বাচিত হওয়ায় বুধবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
আইন পেশায় নিযুক্ত নিশাত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অবহেলিত নারী সমাজের জন্যে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। পারিবারিক কলহে অসহায় নারীদের আইনি সহায়তা প্রদান ছাড়াও দরিদ্র নারীদের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছেন তিনি।
২০১৪ সালে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর সদরের সুহিলপুর ইউনিয়নের ঋষি সম্প্রদায়ের অবহেলিত নারীদের জীবন পরিবর্তনে কাজ করেন তিনি। গড়ে তোলেন স্থায়ী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিয়ে ৫০ জনেরও বেশি নারীর জীবন বদলাতে সক্ষম হন।
ঋষি পাড়ার ৩৭৫টি পরিবারের প্রত্যেকটি থেকে একজন করে প্রশিক্ষিত করা হয়। সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে এক হাজারেরও বেশি নারীকে প্রশিক্ষিত করেছেন।
জাতিসংঘের ইউএন উইম্যান এবং ইউএন সিডিএফ প্রতিনিধিদল ছাড়াও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিনিধি দল তার এসব কাজের প্রশংসা করেছেন। নারী উন্নয়ন ফোরামের প্রকল্প ‘অপারিজতা’র জন্যে বিভাগীয় পর্যায়ে উদ্ভাবনী পুরস্কার অর্জন করেন।
সুইড বাংলাদেশ পরিচালিত আসমাতুন্নেছা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৫ বছর প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বর্তমানে সুইড বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নিশাত।
এছাড়াও তিনি ড্রিম ফর ডিসঅ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশন, ড্রিম ফর ডিসঅ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশন হুইল চেয়ার ক্রিকেট টিম, ড্রিম ফর ডিসঅ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশন ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টিমের উপদেষ্টা।
নারীদের ক্রীড়া বিকাশে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। ‘সালমা সোবহান ফেলোশীপ (ই-মিডিয়া) ব্যাচ-২০০৭ অর্জন করেন তিনি। দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ-এর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ২০০৩ সালে ভারত এবং ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, ব্রিসবেন, পার্থ, সিডনী ও সিঙ্গাপুর সফর করেন তিনি।
সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং অস্ট্রেলিয়ার সিডনী ও মেলবোর্ন সফর করেন। ২০১৬ সালে গভর্ন্যান্স প্রজেক্টের আওতায় শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কেরালায় স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণে সফর করেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই