মা-বাবার বিচ্ছেদ হল। দুই সন্তানের ভরণপোষণের জন্য দাদা বাড়ি থাকার নির্দেশ এলো। দাদা তার দুই নাতী-নাতনীকে নিয়ে যাওয়ার সময় মায়ের জন্য কান্নায় ভেঙে পরে শিশু দুটি। এক মুহূর্তেই বদলে যায় চিত্র। আজ কুমিল্লার আদালতের গেইটে এই দৃশ্য অনেকের চোখে জল এনে দেয়।
পুলিশ ও আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার এই দম্পতির বিয়ে হয় ১৪ বছর আগে। তাদের আট বছরের একটি মেয়ে ও ছয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে। সম্প্রতি পারিবারিক কলহে স্ত্রীকে প্রবাস থেকে তালাক দেয় স্বামী।
কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২নং আদালতের স্পেশাল পিপি মিজানুর রহমান বলেন, তালাকের পর কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২নং আদালতে মামলা দায়ের করেন ওই নারী। আদালত তার কাবিনের টাকা পরিশোধ ও শিশুদের পিতার পরিবারে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়। আজ আদালত গেইটে দাদা শিশুদের নিয়ে যেতে চাইলে শিশুরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে। এরপর কোর্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর সালাউদ্দিন আল-মাহমুদ পুনরায় তাদেরকে আমাদের নিকট নিয়ে আসেন। আমরা দুই পক্ষ বুঝিয়ে বলি। শিশুদের আপাতত মায়ের নিকট হস্তান্তর করি।
গ্রামের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, অপবাদ দিয়ে মেয়েটির সংসার ভেঙেছে। মেয়েটির শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। শিশুদের মায়ের নিকট রাখা উচিত।
শিশুদের মা তার নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বাবার বাড়ি থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা এনে স্বামীর পরিবারকে দিয়েছি। মিথ্যা অভিযোগে আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। আমি সন্তানদের নিজের কাছে রাখতে চাই।
কোর্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর সালাউদ্দিন আল-মাহমুদ বলেন, শিশুর দাদা তাদের সিএনজি অটোরিকশা যোগে নেয়ার সময় কান্না করছিলো। এনিয়ে পথচারীরা তাদের আটক করে। পরে আমরা তাদের উদ্ধার করে আদালতে নিয়ে যাই।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল