সেন্টমার্টিন থেকে চিকিৎসা সেবার জন্য ট্রলারে টেকনাফ যাওয়ার পথে মাঝ সাগরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কুলসুমা (২২) নামের এক গর্ভবতী নারী। তিনি দ্বীপের গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা আব্দুস শুক্ককুরের স্ত্রী।
মঙ্গলবার সকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ।
তিনি বলেন, এই দ্বীপের বাসিন্দাদের সরকারি স্বাস্থ্য সেবার জন্য হাসপাতাল এবং দুই জন এমবিবিএস ডাক্তার থাকলেও সেবার মান অপ্রতুল। এছাড়া ডেলিভারি ইউনিট না থাকায় প্রায় সময় গর্ভবতীদের অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ, এ দ্বীপে একটি অত্যাধুনিক মানের হাসপাতাল থাকলেও পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা সহজে মিলছে না। তাছাড়া ডেলিভারির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব সেবা ইউনিট না থাকায় এই দ্বীপের মানুষকে সাগর বেয়ে টেকনাফ যেতে হয়। এই আসা-যাওয়ার পথেই অনেক গর্ভবতী নারীকে অকালে প্রাণ হারাতে হয়। তাই এই দ্বীপে পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের যাবতীয় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতালের যাবতীয় কার্যক্রমের পাশাপাশি ডেলিভারি ইউনিট চালুর দাবি জানান স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনাটি আমরা অবগত হয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করা হয়েছে। শীঘ্রই এই দ্বীপে ডেলিভারি সেবাসহ যাবতীয় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার