লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ জয়পুরহাট চিনিকলের উৎপাদন শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার। ২০২০-২১ আখ মাড়াই মৌসুমে এবার জয়পুরহাট চিনিকলসহ আরও দুটি চিনিকলের আখ মাড়াই হবে জয়পুরহাট চিনিকলে। ১ লাখ ৬২ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে তিনটি চিনিকল এবার ১০ হাজার ৬৯২ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এরমধ্যে জয়পুরহাট চিনিকলে অধীন ৬০ হাজার মেট্রিক টন, রংপুরের শ্যামপুর চিনিকলের ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং গাইবান্ধার রংপুর চিনিকলে ৫২ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই হবে। চিনি আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৬ দশমিক ৬০ ভাগ।
১৯৬২-৬৩ মৌসুমে যাত্রা শুরু করা জয়পুরহাট চিনিকলটির এটি হবে ৫৮তম আখ মাড়াই মৌসুম। ৫৮টি মাড়াই মৌসুমের মধ্যে ১৫টি মাড়াই মৌসুমে জয়পুরহাট চিনিকল লাখের মুখ দেখলেও বাকী মাড়াই মৌসুমে চিনিকলটি কমবেশি লোকসান গুনেছে। বর্তমনে এ চিনিকলে মোট লোকসানের পরিমাণ প্রায় ৪’শ কোটি টাকা। বর্তমানে চিনিকলটিতে ৮ কোটি টাকার ১ হাজার ৩১৮ মেট্রিক টন চিনি অবিক্রিত অবস্থায় রয়েছে। শ্রমিক কর্মচারির বেতন বকেয়া রয়েছে ৪ মাস ধরে। বেতন না পাওয়ায় কর্মচারি শ্রমিকরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
সর্বশেষ মৌসুমে শুধু আখের অভাবে ৪১ দিন চিনিকলটি চালু ছিল। এ অল্প সময়েই ৫৪ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৩ হাজার ৫৩৪ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা হয়। এর মধ্যে অর্ধেক চিনিই অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে আছে।
চিনিকল সূত্র জানায়, চিনিকল চালুর সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। জয়পুরহাটের সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদু মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করবেন। গতবারের মত এবারেও মিলগেটে আখের মূল্য কুইন্টাল প্রতি ৩৫০ টাকা এবং বাইরের কেন্দ্রগুলো থেকে ৩৪৩ টাকা দরে আখ ক্রয় করা হবে।
জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবু বকর জানান, করোনা পরিস্থিতি আর চিনিকলে উৎপাদিত চিনির তুলনায় খোলা বাজারে আমদানি করা চিনির মূল্য কিছুটা কম হওয়ায় চিনিগুলো বিক্রি হচ্ছে না। তবে খুব শিগগিরই শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা