ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় শীতের কারণে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত ১০ দিনে আড়াই শতাধিক রোগী রোটা ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এসব রোগীর মধ্যে বেশির ভাগই শিশু রয়েছে।
এরমধ্যে গত ৭২ ঘণ্টায় ১৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। এছাড়া দুই শতাধিক বর্হিবিভাগে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তঃত ৮ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করে পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শীত জেকে বসেছে। হিমেল বাতাস থাকার কারনে দরিদ্র, দিনমজুর, ছিন্নমূল, অসহায় হতদরিদ্র লোকজনের দূর্ভোগ পোহাতে হয়। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার ফলে রোটা ভাইরাসের আক্রমণ বেড়ে যায়।
সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের শ্যমনগর গ্রামের আফরোজা আক্তার বলেন, খাদিজা আক্তার নামে তার ২ মাস বয়সী মেয়ে ডায়রিয়া আক্রান্ত হন। প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে খাওয়ানোর পরও সুস্থ না হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পৌর শহরের শান্তিনগর এলাকার সাজেদা বেগম বলেন, তার নাতনি ১৮ মাস বয়সী আফরোজা আক্তার কয়েক দিন ধরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে ওষধ খাওয়ানো হলেও ভালো না হওয়ায় গত দুুই দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন অনেকটাই ভালো আছে। নিলাখাত গ্রামের গৃহিনী মোছা: শান্তা আক্তার বলেন, তার ছেলে ইয়াছিন (২) ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়ায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। ডাক্তার বলছেন বড় কোন সমস্যা হয়নি। আগের থেকে অনেক ভালো আছে বিকালের মধ্যে তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে জানায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শ্যামল চন্দ্র ভৌমিক বলেন, শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় রোটা ভাইরাসের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। দৈনিক এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে অন্তঃত ২০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি নেই। তবে শীতের প্রকোপ কমে গেলে রোগও কমে আসবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার