নাটোরের লালপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে তৈরি করা হচ্ছে শীত মৌসুমের খাবার কুমড়ো বড়ি। মাসকলাই ও চালকুমড়ো দিয়ে গ্রামের নারীরা শীত উপেক্ষা করে সুস্বাদু কুমড়োর বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত। গ্রামীণ এলাকার ৯০ ভাগ নারী পালাক্রমে একে অপরকে সহযোগিতা করে কুমড়ো বড়ি তৈরির কাজটি করে থাকেন।
নারীরা এই বড়ি তৈরি করতে কয়েক মাস আগে থেকেই চাহিদা মতো চাল কুমড়ো পাকানোর ব্যবস্থা করে থাকেন। এরপর মাসকলাই দিয়ে তৈরি করা হয় এই সুস্বাদু খাবারের অংশবিশেষ। রোদে মচমচে করে শুকালেই এর ভালো স্বাদ পাওয়া যায়।
বড়ি তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলার নারীরা জানান, বড়ি তৈরির আগের দিন ডাল ভিজিয়ে রাখতে হয়। এরপর চালকুমড়ার ভেতরের নরম অংশ ফেলে দিয়ে বাকি অংশগুলো মিহি করে রাখতে হবে। তারপর কুমড়ো খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। ধোয়া হলে পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে বেঁধে সারা রাত ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
পরে ডালের পানি ছেঁকে শিলপাটায় বেটে নিতে হবে। এবার ডালের সঙ্গে কুমড়া মেশাতে হবে। খুব ভালো করে হাত দিয়ে মিশাতে হবে যতক্ষণ না ডাল-কুমড়োর মিশ্রণ হালকা হয়। তারপর কড়া রোদে চাটি বা কাপড় বিছিয়ে বড়ির আকার দিয়ে একটু ফাঁকা ফাঁকা করে বসিয়ে শুকাতে হবে। বড়ি তিন থেকে চার দিন এভাবে রোদে শুকানোর পর খাওয়ার উপযোগী হয়। পরে সেটি অনেকদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
শীত মৌসুমে এই বড়ি তৈরি করে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করলে কিছু বাড়তি আয়ও করা যায় বলে জানান কুমড়ো বড়ি তৈরি করা নারীরা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই