গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকা থেকে বুধবার (৬ জানুয়ারি) সকালে হায়দার আলী নামের এক যুবককে অপহরণ করে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহৃতের পরিবারের কাছে থেকে বিকাশের মাধ্যমে দাবিকৃত ৪০ হাজার টাকার মধ্যে ১০ হাজার টাকা পেয়ে অপহরণকারীরা ওই যুবককে বেধরক মারধর করে গোড়াই এলাকায় প্রাইভেটকার থেকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও অপহৃতের পরিবারের সদস্যরা জানান, বুধবার সকালে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মুনসুর আলী ফকিরের ছেলে হায়দার আলী (৪০) বাড়ি থেকে উপজেলার এসিল্যান্ড অফিসে যাওয়ার পথে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে একটি তাকওয়া পরিবহন থেকে নামেন। পরে অপর আরেকটি বাসে উঠে উপজেলা সদরে যাওয়ার জন্য বাসে উঠবে এমন সময় তিনজন যুবক পিছন থেকে ঘাড় ধরে পাশে থাকা একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারে তাকে তুলেন। পরে সিটবেল্টের সাথে বেধে অমানবিক নিযার্তন চালাতে চালাতে যমুনা সেতুর কাছে নিয়ে যান।
এখবর অপহৃতের বড়ভাই সুলতান ফকির জানার পর প্রথমে কালিয়াকৈর থানার ওসি অপারেশন (তদন্ত) রাজিব চক্রবর্তীর কাছে যান। সেখানে সেই পুলিশ কর্মকতা মোবাইল ট্র্যাকিং করে দুইটি লোকেশন বের করেন, অপহৃত হায়দার টাঙ্গাইলের যমুনা সেতুর কাছে রয়েছে। পরে সুলতান মুনসি টাঙ্গাইল থানায় গিয়ে যোগাযোগ করেন। এর মধ্যে অপহৃত হায়দার আলীর মোবাইল ফোন দিয়ে অপহরণকারীদের দাবিকৃত ৪০হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবীর মধ্যে ১০ হাজার টাকা দেন।
নগদ বিকাশে ১০ হাজার টাকা পেয়ে গোড়াই এলাকার কোন এক মোবাইল দোকান থেকে বিকাশ থেকে ক্যাশ নিয়ে অপহৃত হায়দার আলীকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা। হায়দার আলীকে সড়কের পাশে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে একটি সিএনজি করে বাড়ীতে পাঠান। পরে হায়দার আলীর বড় ভাই অপহৃতকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন।
অপহৃতের বড় ভাই সুলতান উদ্দিন জানান, অপহরণকারীরা পূর্বশত্রুতার জের ধরে একাজ করলো কি না বুঝতে পারছি না। বিকাশে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার পর নানা এলাকায় ঘুরিয়ে বেধরক মারধর করে গোড়াই নামক এলাকায় ফেলে দিয়ে যায়।
কালিয়াকৈর থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব চক্রবর্তী জানান, দুপুরে অপহৃতের ভাই আসেন। তার মোবাইল টেকিং করে দুইটি এলাকায় অবস্থান করছে পাওয়া যায়। পরে তাকে সুলতানকে টাঙ্গাইল সদর থানায় যোগযোগ করার জন্য অনুরোধ করি। বিকেলে অপহৃতকে সড়কে ফেলে গেছে শুনেছি। তবে ঘটনা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর আব্দুল্লাহ