২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:৩৭

ভোলায় বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে পুঁথি গান

ভোলা প্রতিনিধি:

ভোলায় বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে পুঁথি গান

ভোলায় বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে গ্রামে গ্রামে চলছে পুঁথি গানের আসর। একদিকে গ্রাম বাংলার প্রাচীন সংস্কৃতির স্মারক নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা, অপরদিকে গ্রামীণ মানুষকে বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে সচেতন করে তোলাই এর উদ্দেশ্য। 

গত ২০ জানুয়ারি থেকে ‘স্বপ্নীল শিশু কিশোর সাংস্কৃতিক সংগঠন’ নামের একটি সংগঠনের শিল্পীরা সদর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুঁথিগান পরিবেশন করছেন। নতুন প্রজন্মের পাশাপাশি বয়স্করাও আগ্রহ ভরে উপভোগ করছেন তাদের পরিবেশনা। 

আয়োজকরা জানান, ভোলায় বাল্য বিয়ের প্রবনতা কিছুটা বেশি। তাই বাল্য বিয়ে প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে তাদের এই প্রচেষ্টা। ইউনিসেফ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ট্রাস্ট এপিসি (শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষা তরান্বিতকরণ) প্রকল্পের মাধ্যমে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে পুঁথি গানের পাশাপাশি নাটকও পরিবেশন করা হচ্ছে। এদিকে ব্যতিক্রমী আয়োজনের মাধ্যমে বাল্য বিবাহ সম্পর্কে সচেতন ও প্রতিরোধের বিষয়ে গ্রামের মানুষের কাছেও বেশ সাড়া পাচ্ছেন তারা।

স্বপ্নীল শিশু কিশোর সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি ইভান তালুকদার জানান, ব্যতিক্রমধর্মী কিছুর মাধ্যমে গ্রামের মানুষকে একত্রিত করে বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে সচেতন করলে তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিবে- এই ভাবনা থেকেই তাদের এই প্রচেষ্টা। 

কোস্ট ট্রাস্টের এপিসি প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. মিজানুর রহমান জানান, ভোলায় নদী ভাঙন ও চরাঞ্চল বেশি থাকায় অভিভাবকরা মেয়েদের দ্রুত বিয়ে দিয়ে দেয়। তাই এই প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষকে বিনোদন দেয়ার পাশাপাশি সচেতনতামূলক বার্তা পৌছে দেয়া হচ্ছে। যাতে করে বাল্য বিয়ের হার কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। 

উল্লেখ্য, এক সরকারি হিসেব মতে দেশে বাল্য বিয়ের হার ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ভোলা জেলায় এই হার ৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর