মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উত্তরাঞ্চলের ক্ষদ্র পর্যায়ের চা চাষিদের চা আবাদ বিষয়ক ৪ দিনের মোটিভেশনাল শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিআর ছিল এই শিক্ষা সফরের শেষ দিন। বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “এক্সটেনশন অব স্মল হোল্ডিং টি কাল্টিভেশন ইন নর্দান বাংলাদেশ” প্রকল্পের আওতায় গত ৮ ফেরুয়ারি শিক্ষা সফর শুরু হয়েছিল।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চা আবাদ বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও হাতেকলমে চা চাষ সম্পর্কে ধারনা দেয়ার জন্য চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে এই শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়েছিল।
উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার ক্ষুদ্র চা ১২ জন চা চাষিদের অংশ নেন। তাদের সাথে ছিলেন চা বোর্ডের কর্মকর্তারা। শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে উদ্ভোধনী দিনে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে “ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুল” এর ব্যানারে “বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চা আবাদ বিষয়ক” দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেমিনারে পঞ্চগড়স্থ বাংলাদেশ চা বোর্ডের ঊর্ধবতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট’র পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. এ কে এম রফিকুল হক। উক্ত কর্মশালায় চা বিজ্ঞানীরা চায়ের জাত নির্বাচন, চারা রোপন, প্লাকিং, টিপিং, প্রোনিং, সার প্রয়োগ, পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন বিষয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে বিটিআরআইএর উদ্ভিদবিজ্ঞান ল্যাবরেটরি, পেস্ট ম্যানেজমেন্ট ল্যাবরেটরি, পেস্টিসাইড রেসিডিউ ল্যাবরেটরি ঘুরে ঘুরে দেখানো হয়।
শিক্ষা সফরের পরেন তিন দিনের কর্মশালার আলোচকরা উত্তরাঞ্চলের চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি চায়ের গুণগতমান উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য ফিনলে’র ভাড়াউরা চা বাগান, কালিঘাট চা বাগান, বিটিআরআই এর বিলাশছড়া পরীক্ষণ খামারসহ শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা বাগান, টি রিসোর্ট এন্ড মিউজয়াম সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় অবস্থিত বাংলাদেশ চা বোর্ড নিয়ন্ত্রণাধীন নিউসমনবাগ চা বাগানের বিভিন্ন সেকশনে প্রশিক্ষণার্থীদের চা চারা রোপন, প্লাকিং, টিপিং, প্রোনিং, সার প্রয়োগ, পোকামাকড় ও রোগবালাই দমনবিষয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ