গরমকালের তৃপ্তিদায়ক ও উপকারী ফল তরমুজ। আর এবছর পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ক্ষেত থেকে পাকা তরমুজ কেটে বিক্রি করছেন কৃষক। লাভ বেশি পাবে এ আশায় ইতোমধ্যে পাইকাররাও আসতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ ক্ষেত আগাম বিক্রি করে দিচ্ছেন। এমন দৃশ্য দেখা গেছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে তরমুজের ক্ষেত। কেউ তরমুজ কাটছেন। কেউ স্তূপ করছেন। কেউ ট্রলি-ট্রাকে তোলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এসব তরমুজ পাইকাররা দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় নিয়ে যাবেন।
এছাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে রয়েছে কৃষকদের কর্মব্যস্ত। এবারে বাম্পার ফলন হয়েছে এখানে। কৃষকরা রয়েছেন খোশ মেজাজে। আগাম তরমুজ আবাদের মধ্য দিয়ে গত বছরের করোনার ধকল কাটিয়ে উঠছেন কৃষকরা। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে, বিশেষ করে প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে হেক্টর প্রতি জমিতে তরমুজ চাষে দেড় লাখ টাকা লাভ হবে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন।
নয়াপাড়া গ্রামে কৃষক মো. মনির হাওলাদার বলেন, প্রায় ৪ মাস আগে ১৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করেন। কঠোর পরিশ্রম করার পরে তার ক্ষেতে এই ফলন হয়েছে। ক্ষেত পরিষ্কারের পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন তিনি। পুরো ক্ষেতের তরমুজ ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন।
আর এক কৃষক মো. রাজ্জাক মুসল্লি বলেন, এবছর আগাম তরমুজ চাষে ভালো ফলন হয়েছে। আড়াই একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। তরমুজ বিক্রি করে তার প্রায় ৩ লাখ টাকা লাভ হয়েছে।
স্থানীয় বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী মো. কালাম বলেন, গত বছর করোনাকালীন তরমুজ বাজারে বিক্রি করতে পারেননি। এবারে তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। দামও চড়া। তারা চাষিদের কাছ থেকে গড়ে প্রতিটি তরমুজ ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় কিনেছেন। স্থানীয় বাজারে তা আকার ভেদে বিক্রি করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, উপজেলায় এবছর তিন হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। চাষিদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে আসছি। কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্যে তরমুজ বিক্রি করতে পারে এজন্য কৃষকদের পাশে থেকে কৃষি কর্মকর্তারা সহযোগিতা করছেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর