ঢাকার অদূরে সাভার পৌরসভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলতে কিছু নেই। ফলে রাস্তার পাশ দিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে ময়লা-আবর্জনা। এতে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক টাউন থেকে নয়াবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে কিছু দূর পরপরই ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে। যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা আর্বজনা। ময়লা ফেলার নির্ধারিত জায়গা ও ডাস্টবিন’র অভাবে আবর্জনার স্তূপ তৈরি হয়েছে যত্রতত্র। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ সাভারবাসী।
সাভারের ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা ও আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল মহাসড়কের পাশে অর্ধশতাধিক ময়লার ভাগাড় গড়ে উঠেছে। দিন যতই যাচ্ছে মহাসড়কের দুপাশে ময়লার স্তূপ ততই বড় হচ্ছে। স্থানীয় হাটবাজার, পাড়া-মহল্লা এমনকি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ফেলার স্থান হিসেবেই বেছে নেওয়া হয়েছে মহাসড়ককে। ফলে সড়কের দুপাশের বাতাস হয়ে উঠছে বিষাক্ত। এতে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
এ দুর্গন্ধের কারণে ডায়রিয়া ও পেটের অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমজাদুল হক।
সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের দিলখুশা সুপার মার্কেটের পরিচালক নজরুল ইসলাম নজির বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন আমাদের মার্কেটের পাশে রাজ্জাক সাহেবের কাঁচা বাজারে সামনে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ রয়েছে। দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ। ক্রেতারা মার্কেটে প্রবেশ করতে চায়না। ফলে কমে গেছে মার্কেটের বেচা-বিক্রি।
পৌরবাসী হাফিজ উদ্দন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এসব সরানোর জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে বহুবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তাতে পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া বা অপসারণের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। বরং দিন দিন তা বেড়েই চলেছে।
এ বিষয়ে সাভার পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল গণি মিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বর্তমান মেয়রের নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম শ্লোগান ছিল ‘গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি’। শহরের আবর্জনার অব্যবস্থাপনার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি পৃথিবীর অনেক দেশ ঘুরেছি। সত্যি, আমাদের এই সাভার পৌরসভা একেবারে ময়লা-আবর্জনার মধ্যে।
তিনি আরও বলেন পৌরসভার গাড়ি ও জনবল সঙ্কট থাকার কারণে ডাম্পিং জোনে ময়লা ফেলা হচ্ছে না। এ সময় ময়লা-আবর্জনা ফেলার সময় পৌরবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই পাশ থেকে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ময়লা সরিয়ে নেবে দ্রুত এমনটাই আশা করেন পৌরবাসী।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর