স্বস্তির বৃষ্টিতে বোরো চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। আমন মৌসুমে কৃষকরা ধানের ভালো দাম পাওয়ায় বোরো ধান অবাদে কোমড় বেঁধে নেমেছেন। তাদের ধারণা আমনের মত বোরো ধানের ভালো দাম পাওয়া যাবে তাই তারা ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। শনিবার দুপুরের বৃষ্টিতে আরো সজিব হয়ে উঠা বোরো ক্ষেত নিয়ে এমনটাই আশা চাষিদের।
তবে কৃষকদের আশঙ্কা ধান ওঠার সাথে সাথে একশ্রেণির মধ্যস্বত্বভোগী ও বড় বড় মিলাররা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ধানের দাম কমিয়ে দিতে পারে।
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের বুলবুল মিয়া দুই বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। গত মৌসুমে আমন ধান ১১শ টাকা মন বিক্রি করেছেন। তাই ভালো দামের আশায় বোরো আবাদ করেছেন। বুলবুলের মত একই আশা প্রকাশ করেছেন মিঠাপুকুরের কৃষক হাবিবুর রহমান, রংপুর সদরের অমিন মিয়া, মান্নান, হান্নান মিয়া,গঙ্গাচড়ার গজঘণ্টার মিজানুরসহ অসংখ্য কৃষকের। তারা জানান, দুদফা বৃষ্টিতে তাদের জমিতে সেচ সাশ্রয় হয়েছে। বৃষ্টির কারণে ক্ষেতগুলো আরো সজিব হবে।
কৃষকরা জানান, দুবছর আগেও ১ একর জমির ধান কাটা মাড়াই করতে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা লাগত। গত ৪ বছর থেকে প্রায় তিন থেকে চার গুণ বেশি মজুরি দিতে হচ্ছে। এখন ধানের বিনিময়েও একজন কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছেনা। ফলে উৎপাদন ব্যয়ও বেড়েছে দ্বিগুণ।
রংপুর কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যান বিশেষজ্ঞ মেছবাহুল ইসলাম জানান, এবার রংপুর অঞ্চলে ৪ লাখ ৯৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া এখন পর্যন্ত বোরোচাষিদের অনুকূলে রয়েছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, এই সপ্তাহে বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়া একাধিকবার হতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল