নেত্রকোনায় বিভিন্ন জাতের সবজি আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। বিশেষ করে উন্নজাতের বেগুনের ভালো ফলনে দাম কিছুটা কম হলেও দীর্ঘ সময় ফলন হওয়ায় লাভের আশা করছেন কৃষকরা। এদিকে, আধুনিক প্রযুক্তিতে উচ্চ ফলনশীল সবজি আবাদে কৃষকদের নানা পরামর্শও দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
জানা গেছে, নেত্রকোনার বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ, কেন্দুয়াসহ বিভিন্ন উপজেলায় এবার ব্যাপক ভাবে বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল সবিজর আবাদ করেছেন কৃষকরা। এর মাঝে বারহাট্টা উপজেলার চিরাম ও সিংধা ইউনিয়নের কয়েকশত হেক্টর জমিতে ডাব বেগুন ও লতিরাজ কচুর আবাদ করেছেন কৃষকরা। উচ্চ ফলনশীল বেগুন হলেও স্বাদ থাকায় বাজারেও এর চাহিদা রয়েছে।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিদিন বাগান থেকে সংগ্রহ পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন কৃষকরা। ভালো দামেই পাইকাররাও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য। এতে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই লাভবান হচ্ছেন বলে জানান তারা। দীর্ঘসময় ফলন দেয়া ও বাজার দর বাড়তে থাকায় সামনের দিনে ভালো লাভের আশা করছেন চাষীরা।
উচ্চ ফলনশীল এ জাতের প্রতিটি বেগুন আধা কেজি থেকে এক কেজি পর্যন্ত ওজন হয় বলে জানান কৃষকরা। গেল কয়েক বছর ধরে বেগুন চাষাবাদ করে লাভবান হওয়ায় এখন আগ্রহী হয়ে উঠছেন এ অঞ্চলের অনেকইে। খবর পেয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে চারা সংগ্রহ ও পরামর্শ নিতে আসছেন কৃষকেরা।
এদিকে, আধুনিক প্রযুক্তিতে উচ্চ ফলনশীল সবজি আবাদে কৃষকদের নানা পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বারহাট্টা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাইমিনুর রশিদ। তিনি বলেন, বারহাট্টাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার মাটি অত্যন্ত ভালো। যে কারনে কিছুটা পরিচর্যা করলেই বিভিন্ন জাতের সবজি আবাদ করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনা সম্ভব। সেই লক্ষ্যেই বারহাট্টায় স্থানীয় জাতের বেগুনসহ নানা জাতের সবজি আবাদের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এবার ধান, গম, ভূট্টাসহ প্রায় ১ লাখ ৮৪ হাজার হেক্টর জমিতে রবি শষ্যের আবাদ হয়েছে। এর মাঝে ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতে সবজি আবাদ করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন হয়েছে বেশ। আগামীতে আবাদ আরঅ বৃদ্ধি করতে উদ্যোগ নিতে কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের প্রতি আহ্বান কৃষকদের।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত