উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে তিস্তার পানি হুহু করে বাড়ছে। ফলে এই মৌসুমে প্রথম তিস্তার পানি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এতে তিস্তার ঘরবন্দি হয়ে পড়ছে চরাঞ্চলবাসীর হাজারেরও বেশি পরিবার। এ পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মকর্তারা।
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজের দোয়ানি পয়েন্টে আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে জেলার হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা,পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে।
এছাড়াও নদীর মাঝখানে জেগে উঠা চরের হাজারেরও বেশি মানুষের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। এতে কৃষকের ভুট্টা, কুমড়া, মরিচ, বাদাম ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে।
সদরের রাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন জানান, 'তার ইউনিয়নের অর্ধেকের বেশি মানুষের বসবাস নদীর মাঝে জেগে উঠা চরে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকের ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।'
তিস্তার পারের কদম আলী বলেন, 'রাত থেকে উজানের পানি আসছে। যেভাবে পানি বাড়ছে এতে করে বন্যা দেখা দিতে পারে।'
তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, 'উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ আজ শুক্রবার সকাল থেকে বাড়তে শুরু করেছে। ব্যারেজের সবগুলো জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।'
বিডি প্রতিদিন/ অন্তরা কবির