ফরিদপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি ৩ সেন্টিমিটার বেড়ে এখন তা বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার কারণে ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল, ডিক্রিরচর, চর মাধবদিয়া, আলিয়াবাদ ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
পদ্মায় পানি বাড়তে থাকায় পদ্মা তীরবর্তী ইউনিয়নগুলোতে বেড়েছে নদী ভাঙন। বন্যা ও নদী ভাঙনের কারণে ফরিদপুরে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ বর্তমানে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে। নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান জানান, নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামই বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বানভাসী মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। এছাড়া গবাদি পশুর তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরও বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাঙনও তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইউনিয়নের দুটি গ্রামে ব্যাপক হারে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের কারণে বেশকিছু বসতবাড়ি ও ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু জানান, পদ্মার পানি দ্রুত বাড়তে থাকায় ডিক্রিরচর ইউনিয়নের পদ্মা তীরবর্তী গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে গেছে কয়েকটি রাস্তা। কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বানভাসী শতাধিক পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পদ্মার পানি বাড়ায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে তার এলাকায়। এছাড়া চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার বেশকিছু ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম বন্যার কবলিত হয়েছে। বসতবাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় বেশকিছু পরিবার পাকা সড়কে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। চরভদ্রাসনের বন্যার্ত বেশ কয়েকটি পরিবার জানান, তারা এখনো কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাননি।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, পানিবন্দী মানুষের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বর্নাত্যদের সহযোগিতার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি তারা নিয়ে রেখেছেন। বন্যা কিংবা নদী ভাঙনের শিকার হওয়া একটি পরিবারও না খেয়ে থাকবে না।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা