কক্সবাজারের চকরিয়ায় জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে এতিমখানার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ তিনজনের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর দুইটার দিকে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের সুরাজপুর ভিলেজার পাড়ায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে স্থানীয় ভুক্তভোগী লোকজন ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত জনতা এতিমের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
এদিকে মানববন্ধন শেষে চেয়ারম্যান আজিমুল হকের ইন্ধনে বাদী পক্ষের লোকজনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এর আগে এ ঘটনায় গত ৩১ আগস্ট সুরাজপুর এলাকার বাসিন্দা নুরুল কাদের বাদী হয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় আসামি করা হয় সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়র পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক, ৬ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম কাজল ও হেফজখানা ও এতিমখানার সুপার ও পরিচালক মাওলানা আহসান হাবিব পারভেজ।
জানা যায়, গত ২০১৪ সালে মামলার বাদী নুরুল কাদেরের পিতা হাজী রব্বত আলীসহ ৫ শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়নে তিনতলা ভবন নির্মাণ করে সুরাজপুর ইসলামীয়া হেফজখানা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানটি একই বছর সমাজসেবা অধিদপ্তর হতে নিবন্ধিত হয়। পরে হেফজখানা মাদ্রাসার ছাত্রদের এতিমখানার ছাত্র দেখিয়ে পিতামাতা জীবিত থাকা স্বত্বেও চেয়ারম্যানের যোগসাজসে ৬৪ ছাত্রের পিতার মৃত্যুসনদ প্রদান করেন। এসব সনদ প্রদান করে বিগত ৭ বছর যাবত তিনজনে মিলে অন্তত ১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় বাদী দাবি করেন।
এদিকে নালিশী মামলাটি সিআইডিকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল