বগুড়ার শেরপুরে ইয়াবাসহ দুলালুর রহমান দুলাল (৫২) নামে সাবেক ইউপি সদস্য ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১২ এর সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৯৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দেওয়া হয়েছে।
মাদক ব্যবসায়ী দুলালুর রহমান দুলাল উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও স্থানীয় ররোয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। গ্রেফতার হওয়া অপর ব্যক্তির নাম মো. সাইফুল ইসলাম (৩০)। তিনি একই গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হওয়া দুলালুর রহমান দুলাল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরণের মাদকদ্রব্য বিক্রি করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের ধুনকুণ্ডি নামক স্থানে অবস্থিত ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক সংলগ্ন হোটেল পেন্টাগনের সামনে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালান র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১২ এর সদস্যরা। একপর্যায়ে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রিকালে সাবেক ইউপি সদস্য দুলাল ও তার সহযোগী সাইফুল ইসলামকে হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন র্যাব সদস্যরা। পরে তাদের শরীর তল্লাশি করে ১৯৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটও উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হওয়া সাবেক মেম্বার দুলালুর রহমান দুলাল নিজেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। তাই তার এই মাদক ব্যবসার বিষয়টি এলাকাবাসী জানলেও ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। ফলে ওই ইউপি সদস্যের মাদক আস্তানায় গিয়ে এলাকার অসংখ্য তরুণ-যুবকরা ধ্বংসের পথে ধাবিত হতে থাকেন। তবে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর এই সফল অভিযানের মাধ্যমে দুলাল মেম্বারের মাদক ব্যবসার লাগাম টেনে বিপথগামী তরুণ-যুবকরা রক্ষা পাবেন বলে দাবি করেন তারা।
জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, র্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হওয়া দুই মাদক ব্যবসায়ীদের থানায় হস্তান্তর করার পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা দুইটার দিকে বগুড়ায় আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর
