বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এসপি রশিদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুছাফ কাককা মিয়া অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই বিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আকবর আলী। এসময় কার্যনির্বাহী কমিটির ১০ জন সদস্য ও সহকারী প্রধান শিক্ষক ফিরোজ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, এসপি রশিদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুছাফ কাককা মিয়ার চাকরির মেয়াদ আগামী ৬ অক্টোবর শেষ হবে। প্রধান শিক্ষক চাকরির মেয়াদ ৫ বছর বৃদ্ধির জন্য কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে আবেদন করেন।
কিন্তু ওই প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, ভুয়া ভাউচার, উৎকোচ গ্রহণ এবং স্বাক্ষর জাল করে রিজার্ভ ফান্ডের অর্থ উত্তোলনসহ নানা অনিয়মের কারণে সাবেক সভাপতি মজিবর রহমান হাওলাদর তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্তে এ ঘটনার সত্যতাও পাওয়া যায়।
এছাড়া নানা অনিয়মের কারণে প্রধান শিক্ষক মুছাফ কাককা মিয়াকে বিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তে ২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্যের মধ্যস্থতায় ১১ বছর পর ২০২০ সালে তার সাময়িক বরখাস্তাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আগামী ৬ অক্টোবর তার চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ায় বিদ্যালয়ের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা কারণে তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না করার জন্য গত ১৮ সেপ্টেম্বর একটি রেজ্যুলেশন করে ওই বিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী কমিটি। কিন্তু বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা কারণে প্রধান শিক্ষক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। প্রধান শিক্ষক মুছাফ কাককা মিয়া গত ৩০ সেপ্টেম্বর একটি রেজ্যুলেশন করে কিছু সদস্যদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। আবার অনেকের স্বাক্ষর জালও করেছেন।
এই মুহূর্তে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার সামর্থ্য এসপি রশিদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাই। তাছাড়া দুর্নীতিবাজ এমন প্রধান শিক্ষকের কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হবে বলে কার্যনির্বাহী কমিটির মনে হয়েছে। তিনি যাতে চুক্তিভিত্তিক প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে না পারেন, এজন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এ বিষয়ে এসপি রশিদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুছাফ কাককা মিয়া জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিগত দিনে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এই অর্থ তুলে নেওয়ার জন্য তিনি কিছু দিন থাকতে চেয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই